প্রকাশিত: ১১/০৮/২০১৭ ৭:২৬ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৩ পিএম

কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করে দেড় বছর সংসার করার পর এখন অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে এখন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী তরুণী। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্রাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার খন্দকার। এ সময় তার সহপাঠিরা উপস্থিত ছিলেন।

সুমাইয়া জানান, কুমিল্লার নজরুল এভিনিউ রোডে সাউন্ড সনোগ্রাফিতে ডা. রিয়াজুল ইসলামের চেম্বারে রিসিপিশনিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। সেখানে ডা. সাইফুল ইসলাম মজুমদার নিয়মিত যাতায়াত করতেন। আসা-যাওয়ার মধ্যে তরুণীর সেল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন ওই চিকিৎসক। এরপর বিভিন্ন সময় ফোন করে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বিয়ের কথা বলে সুমাইয়াকে বাগেরহাটের মংলায় নিয়ে যান ডা. সাইফুল। সেখানে হোটেল হাজী শেখ আব্দুস সালাম ইন্টারন্যাশনালে আবাসিক হোটেলে তাকে ৪ দিন রাখেন ওই চিকিৎসক।

এরপর পাশেই অবস্থিত কাজী অফিসে তার বন্ধুদের পরিচিত কাজীর মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হয় তাদের। পরে কুমিল্লার হাউজিং ৩ নম্বর সেকশনের ফাইজা হাউজে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাসা ভাড়া নিয়ে রাখা হয় সুমাইয়াকে। তারা দেড় বছর সেখানে বসবাস করেন। একপর্যায়ে তার বাড়িতে নেওয়ার জন্য বললে তিনি বড় ভাইয়ের বিয়ে না করার কথা বলে তালবাহানা করতে থাকেন।

গত ১৭ জানুয়ারি ওই বাসা ছেড়ে সটকে পরেন ডা, সাইফুল। একপর্যায়ে তার গ্রামের বাড়ি নাঙ্গলকোটের আাঙ্গলখোড় গ্রামে গিয়ে ওই চিকিৎসকের পরিবারকে বিষয়টি জানান সুমাইয়া। এসময় তারা বিয়ের প্রমাণ চাইলে সাইফুলের প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে।

সুমাইয়া আরও জানান, ওই চিকিৎসক তার বিয়ের কাবিননামা দিচ্ছেন না। আর বিয়ে পড়ানো কাজীকেও খুঁজে পাচ্ছেন না সুমাইয়া। উপায়ান্তর না পেয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ জানান ওই তরুণী। প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

এরপর কুমিল্লা জর্জ কোর্টে নারী ও শিশু অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সুমাইয়া। বিষয়টি টের পেয়ে এখন সাইফুল ও তার পরিবার সুমাইয়া এমনকী তার স্বজনদেরও বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। এবিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই তরুণী।

তবে ওই তরুণীর অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ব্লাকমেইলিংয়ের শিকার।

পাঠকের মতামত

৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামানভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামে শহীদ মৌলভী ফরিদ আহমেদ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ...

মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ

উখিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন–২০১২ বিষয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...

উখিয়ায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র হামলা, কুপে ৫ জন গুরুতর আহত

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব পারিরবিল এলাকায় জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ...