![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/07/coxs-bazar-beach-0120160104161932.jpg)
উখিয়া নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়বেটিক পয়েন্টে গোসল করতে গিয়ে ভেসে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ অপরজন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ভেসে যাওয়া মহসিনুল ইসলাম শেফায়েতের (৯) মরদেহ সন্ধ্যা ৭টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
শেফায়েত কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা ৫ নম্বর গলির হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে। আর নিখোঁজের নাম নুর উদ্দিন (৯)। সে একই এলাকার ওয়ারেছ উদ্দিনের ছেলে। দু’জনই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাড়া-ঘর ও পুরো সৈকতজুড়ে ঈদের আমেজ চলছে। দূর-দূরান্ত থেকে দলে দলে বালিয়াড়িতে আসছে ভ্রমণ-পিপাসীরা। ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে এ খবর প্রচার পাচ্ছে সারা দুনিয়ায়। এসব দেখে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দু’বন্ধু মিলে লোনা জলের সান্নিধ্য নিতে সৈকতে গিয়েছিল।
সবার অলক্ষ্যে এক সময় গোসল করতে নামে তারা। কিন্তু ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায় দুজন। অকস্মাৎ এটি দেখে সাগরে নেমে শেফায়েতের নিথর দেহ উদ্ধারে সক্ষম হন ঝাউতলা ৩ নম্বর গলির আমির হোসেন। তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক শেফায়েতকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়। এসময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
অপরদিকে, নুর উদ্দিনের খোঁজে ডায়বেটিক ও সমিতিপাড়া পয়েন্টে লাইফগার্ডদের সহযোগিতায় স্বজনরা তল্লাশি (রাত ১টা পর্যন্ত) অব্যাহত রেখেছেন।
সৈকতে কর্মরত লাইফগার্ড পরিচালক ছৈয়দ নূর জানান, লাবণী পয়েন্ট ছাড়া ১১০ কিলোমিটার সৈকতের অন্য কোথাও গোসলে নামা নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কিন্তু এ দু’শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ পয়েন্ট দিয়ে সবার অগোচরে গোসলে নামায় দুর্ঘটনায় পড়েছে। সৈকতের এ সাইডটাতে নিয়মিত লাইফগার্ড নজরদারি থাকে না বলে দাবি করেন তিনি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তথ্যটি শুনেছেন উল্লেখ করে বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও বেদনাদায়ক।
পাঠকের মতামত