![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2017/01/SHIPING20170111154546.jpg)
জসিম মাহমুদ ::
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে শর্তসাপেক্ষ পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিলেও শনিবার সকাল থেকে পাঁচটি জাহাজের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। চলতি বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে এ নৌপথে সাতটি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, সাধারণত এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর—এই চার মাস ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাগর উত্তাল ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার আশঙ্কায় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শর্তসাপেক্ষে দুটি জাহাজ চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো: ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী না নেওয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা, আবহাওয়ার সতর্কতা-সংকেত মেনে চলা, সংকেত জারির সঙ্গে সঙ্গে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা, যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেটসহ সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ফিটনেস-লাইসেন্সের কাগজপত্র সঙ্গে রাখা।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে টেকনাফের দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে এসে পর্যটকেরা ভিড় করেছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজে করে তিন শ ৭৮ জন পর্যটক ও স্থানীয় ৩৯ জন বাসিন্দা নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ছেড়ে যায়।
কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফে ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে অনুমতি থাকায় রোববার থেকে দুটি জাহাজ পুরোদমে এই রুটে পর্যটক পরিবহন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমদ বলেন, পাঁচটি জাহাজের চলাচল শনিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বাঙ্গালী, গ্রীন-লাইন-১, বে-ক্রুজ, এলসিটি কুতুবদিয়া ও এলসিটি কাজলকে শনিবার সকাল থেকে এ পাঁচটি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তুষার আহমদ আরও বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের কিছু শর্তারোপে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এবং কেয়ারি সিন্দবাদকে এ নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত