প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৬ ৭:৩০ এএম

sentএম কেফায়েত উল্লাহ খাঁন, সেন্টমার্টিনঃ

কক্সবাজার সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণি ঝড় “রোয়ানু” ক্রমশ শক্তিসঞ্চয় করে এগুচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলে ৬ নং স্থানীয় বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৫ ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ পুরো কক্সবাজারে যে পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা সীমাহীন। সেই ক্ষতির ঘাটতি পুষিয়ে না উঠতেই রোয়ানু’র আগমন।যারফলে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে পুরো কক্সবাজার জুড়ে আতংক বিরাজ করছে।সবচেয়ে বেশী আতংকের মধ্যে রয়েছেন সেন্টমার্টিনবাসী।ইতিমধ্যে রাস্তা, মহল্লা ও মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে।লোকজন ধীরগতিতে আশ্রয় কেন্দ্রে দিকে চলছে।

বর্তমানে প্রবাল দ্বীপে হালকা দমকা বাতাস ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।তবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।যার কারনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে তিনদিন ধরে চলাচল বন্ধ রয়েছে।চাল, ঢাল, আলু ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সংকটে পড়েছে।আর কয়েকদিন গেলেই দ্বীপে খাদ্য শূন্য হয়ে পড়বে।

আবহাওয়া সূত্রে জানা যায়, ঘুর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর বারটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার দদক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিনসহ পুরো কক্সবাজার জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ঘুর্ণিঝড়ের আশংকায় দক্ষিন বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলে আশ্রয়ে রয়েছে।।

পাঠকের মতামত

ফেসবুক পোস্ট দিয়ে ছাত্রশক্তি নেত্রীর পদত্যাগ‘জুলাইয়ে থানার বাইক চোরের কাছে অনেক সময় হেরে যাই’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি কক্সবাজার জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটি’র ...