
সারাদিন বিরতির পর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় আবার গোলাগুলির শব্দে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫-এর দিকে টেকনাফের উনছিপ্রাং সীমান্তে গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যায়।
সারাদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর আবারও পরপর ৩০/৩৫ রাউন্ড গোলাগুলি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উনছিপ্রাং সীমান্তের ওপারে। সেখানে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এপারের স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তের কাছের পাউকতাও শহর এবং পুরো পালেতওয়াসহ অন্যান্য এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৭০টি অবস্থান দখল করেছে তারা।
সীমান্তে শঙ্কা জিইয়ে রাখতে পারি না: কাদের সীমান্তে শঙ্কা জিইয়ে রাখতে পারি না: কাদের
সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলা–বারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।
পালিয়ে আসা ১০০ বিজিপি সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর পালিয়ে আসা ১০০ বিজিপি সদস্যকে টেকনাফে স্থানান্তর
আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে ১০০ জন সদস্যকে বৃহস্পতিবার তমব্রু সীমান্ত থেকে টেকনাফে স্থানান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এখান থেকে সমুদ্র পথে পাঠানো হবে মংডুতে।

পাঠকের মতামত