প্রকাশিত: ১২/০২/২০২০ ৭:০০ পিএম

রিয়াজুল হাসান খোকন, টেকনাফ, বাহারছড়া
টেকনাফ উপজেলাধীন শামলাপুর – হোয়াইক্যং সড়কে চালক ও যানবাহন মালিকদের বেপরোয়া কর্মকান্ডের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছে যাত্রীরা। এর মুল কারণ হিসেবে দুই এলাকার অর্থাৎ শামলাপুর- হোয়াইক্যং সড়কের যানবাহন মালিক ও চালক সমিতির মধ্যে দ্বন্ধ ও গরমিল। এক এলাকার মালিক ও চালকদের সাথে আরেক এলাকার মালিক ও চালকদের দ্বন্ধ চরম পর্যায়ে ধারণ করছে বলে জানা গেছে।

জানা যায় রোহিঙ্গা আসার পর থেকে শামলাপুর – হোয়াইক্যং সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রতিদিন শতশত মানুষ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির সুবাধে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সাথে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার গাড়ি ও অনেক সরকারী গাড়ি এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে এই সড়কটি এক ধরণের ব্যস্ত সড়ক বললে চলে। কিন্তু এই সড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী সিএনজি দিয়ে যাতায়াত করতে এক ধরণের জিম্মি যাত্রীরা। কারণ দুই এলাকার যানবাহন মালিক ও চালকদের মনগড়া আইননুযায়ী শামলাপুর এলাকার সিএনজি হোয়াইক্যং বাজার থেকে কোনো যাত্রী গাড়িতে তুলতে পারবেনা। ফলে শামলাপুর এলাকার সিএনজি হোয়াইক্যং বাজারে যেতে প্রতিজন যাত্রী থেকে ভাড়া আদায় করে ৫০ টাকা। অথচ শামলাপুর থেকে হোয়াইক্যং বাজারের দুরত্ব মাত্র ৬-৭ কিলোমিটার। ভোক্তভোগী যাত্রীরা মনে করেন এই রকম বেশি ভাড়া ও বিশৃঙ্গলা বাংলাদেশে আর কোনো সড়কে আছে কিনা সন্ধেহ। এটা এক ধরণের বড় জুলুম। আবার হোয়াইক্যং এলাকার সিএনজি শামলাপুর থেকে কোনো যাত্রী তুলতে পারেনা। তারাও হোয়াইক্যং থেকে শামলাপুর যেতে ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করে।

এই দুই এলাকার সিএনজির মালিক ও চালকরা যুক্তি হিসেবে এই প্রতিবেদক কে বলেন আমাদের লাইনে বেশি ভাগ গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স নাই। আমরা বাইরের কোনো জায়গায় ভাড়া মারতে পারিনা। তাই আমাদের এই সড়ক দিয়ে আয় করতে হয়। তাহলে ভাড়া এত বেশি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন আসার সময় খালি আসতে হয় তাই আসা যাওয়ার ভাড়া আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করি। তাহলে নিরহ যাত্রীদের অভিযোগ তাদের অবৈধ গাড়ি ও সংঘটনের দ্বন্ধের কারণে আমরা কেন বলিরপাটা হব!। আবার কোনো যাত্রী ২০-৩০ টাকা দিয়ে হোয়াইক্যং থেকে শামলাপুর গামী কোনো খালি সিএনজিতে উঠলে তখন হোয়াইক্যং এলাকার সিএনজির লাইন্সম্যান সেই গাড়ি আটকে দিয়ে যাত্রীকে তাদের লাইনের গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে। যদি কেউ প্রতিবাদ করে তখন তার উপর নেমে আসে বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন ও গালিগালাজ। ঠিক একই পন্থা অবলম্বন করেন শামলাপুর এলাকার লাইন্সম্যানও। তবে দুই সংঘটনের একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা পাল্টি অভিযোগও করেন। শামলাপুর লাইনের দাবী হোয়াইক্যং লাইন সমাধানে আসেনা। আবার হোয়াইক্যং লাইন বলে শামলাপুর লাইন সমঝোতায় আসেনা। তাই দুই সংঘটনের দ্বন্ধে ভোক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

তাই সবদিক মিলিয়ে এই সামান্য পথ পাড়ি দিতে সিএনজি চালক ও মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর হাজার হাজার মানুষ। তারা প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করে। তাই তাদের এই বেপরোয়া কর্মকান্ডের অবসান চান সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা। কারণ সড়ক সরকারের টাকায় নির্মিত হয়েছে। সুতারাং এখানে কেউ মাস্তানী বা কাউকে জিম্মি করার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম,এ মনজুর আলম বলেন এই সড়কে তুলামুলক গাড়ি ভাড়া একটু বেশি। তাই এটা নিরসন হওয়া দরকার। প্রশাসন চাইলে এর সমাধান করতে পারে। অন্যদিকে এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন উক্ত বিষয়ে আমি অবগত হলাম এবং খোঁজখবর নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

পাঠকের মতামত

জাতিসংঘ রিপোর্টে শেখ হাসিনা গণহত্যাকারী প্রমাণিত – সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার ...

কক্সবাজার জেলার বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের  প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আগামী ২৪-২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে কক্সবাজার ...

সমীকরণে ‘লক্ষ্মী আসন’ উখিয়া-টেকনাফ, মূল লড়াইয়ে বিএনপি-জামায়াত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা উখিয়া-টেকনাফের সংসদীয় আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে ...

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তিন দিনের সম্মেলন,অংশ নেবে ৪০টি দেশ

আগামী ঈদে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে উৎসব পালন করবেন-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ...