
পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বিদায়ী মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গতকাল বৃহস্পতিবার র্যাব সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আর এর মধ্য দিয়ে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। আশিক বিল্লাহ তার নিজ কর্মস্থল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ফিরে যাচ্ছেন। গতকালই র্যাবে তার শেষ কার্যদিবস।
গতকাল র্যাবের বিদায়ী মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, কমান্ডার আল মঈন আজই (বৃহস্পতিবার) নতুন এ দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
র্যাব সূত্রমতে, গত ৮ জুলাই র্যাবের মুখপাত্রের দায়িত্ব পান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ। এর আগে তিনি র্যাব-২ এর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
গতকাল র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মূলত তিনি একজন কমিউনিকেশন স্পেশালিষ্ট। তিনি এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। এক বছর ২ মাস ধরে তিনি র্যাবের কমিউনিকেশন শাখার পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্ব পালনের সময় তিনি পূর্বেও গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আশিক স্যারকে গণমাধ্যম যেভাবে সহযোগিতা করেছে, আশা করব তেমনিভাবে আমার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ২০০৭ হতে ২০১০ সাল পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। র্যাবের গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি জঙ্গি, চরমপন্থি এবং সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপারেশনে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিকে গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তারে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ মেডেলে (বিপিএম) ভূষিত হয়েছেন।
এছাড়া কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) থেকে পিএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করেছেন।
পাঠকের মতামত