প্রকাশিত: ০৫/১০/২০১৭ ৭:৪৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪০ পিএম
ফাইল ছবি

আব্দুল আলীম নোবেল::
সম্প্রতি কক্সবাজারে প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। বিশাল এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জীবন মান নিয়ে কাজ করছে শতাধিক দেশিবিদেশী এনজিও। এইসব এনজিওদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পক্রিয়া বেড়েছে। তবে এই নিয়োগের শুরু থেকে চরম অনিয়ম চলছে বলে এমন অভিযোগ তুলেছে চাকুরী প্রার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা এনজিওতে চাকুরী প্রার্থী আব্দুল কাদের জানান, গত কয়েক দিন থেকে স্থানীয় দৈনিকে দেশিবিদেশী এনজিওদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছেড়েছে। অনেকে এইসব বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকুরীর আবেদন করা হলেও বেশির ক্ষেত্রে সবকিছু যোগ্যতা থাকার পরেও চাকুরী হচ্ছে না স্থানীয়দের। নানা কায়দা করে ওই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা তাদের মামা খালোদের চাকুরীতে ঢুকানো হচ্ছে। বাদ দেয়া হচ্ছে স্থানীয়দের। অতচ রোহিঙ্গার কারণে চরমভাবে স্থানীয়রা ক্ষগ্রিস্থ হচ্ছে।

উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা এই দেশে আশ্রতি হওয়ায় সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় জনগনই। । এমনকি অনেকের কৃষি জমি বসত বাড়িসহ নানাভাবে এলাকাবাসী ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাহলে কেন এনজিওদের চাকুরীর নিয়োগে স্থানীয় শিক্ষিত যুবকদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে না। স্থানীয়দের দাবী এইসব এনজিওতে অনন্ত শতকরা ৬০ ভাগ অগ্রধিকার ভিত্তিতে চাকুরীতে নিয়োগ দিতে হবে। এই সব বিষয়ে বেশ কয়েকজন এনজিও কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা বলেন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরীতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা। গত মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান,সবার আগে স্থানীয়দের এইসব চাকুরীতে যোগ্যতার বলে নিয়োগ দিতে হবে। এইনিয়ে কক্সবাজারে গত কয়েক থেকে চাকুরী প্রার্থীও সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি আলোচনায় আসছে।
কক্সাবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়রা। এনজিওতে সবার আগে তাদের নিয়োগ দিতে হবে। কারণ তারা রোহিঙ্গাদের ভাষা বুঝে। এতে তাদের সাথে কাজ করতে সুবিধা হবে। কক্সবাজারের লোক না হলে রোহিঙ্গাদের ভাষা বুঝা অনেক কঠিন হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে হলেও তাদেরকে এনজিওতে নিয়োগ দিতে হবে। কোষ্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাহঙ্গীর আলম জানান, এইসব কথা ভিত্তিহীন যোগ্যতার বিভিত্তে সবাইকে এনজিওতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এখানে কোন সঠামির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে না। তবে সবার আগে যে কোন এনজিও অভিজ্ঞতাকে একটু প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এছাড়া যে কোন প্রতিষ্ঠান সৎ, স্মার্ট কর্মঠ ছেলে মেয়েদেরকে চাকুরীতে সুযোগ দিয়ে থাকে।

পাঠকের মতামত

খেলাভিত্তিক শিক্ষায় ব্র্যাকের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠান

শিশুদের খেলাভিত্তিক শেখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও মনোসামাজিক বিকাশ নিশ্চিতে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ...

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধর্মীয় প্রচার কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ...

জামিন বাতিল, মহেশখালীর তোফায়েল হত্যা মামলায় ৭ জন কারাগারে

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর ...

ফেসবুক পোস্ট দিয়ে ছাত্রশক্তি নেত্রীর পদত্যাগ‘জুলাইয়ে থানার বাইক চোরের কাছে অনেক সময় হেরে যাই’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি কক্সবাজার জেলা শাখার সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটি’র ...