প্রকাশিত: ০৪/১০/২০২১ ৯:৫৩ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পরিস্থিতি অস্থির করতে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র আসছে। এর আগেও এসেছে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। রবিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে খুন হওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে আমরা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য রয়েছে। পরিস্থিতিও বেশ ভালো। তবে এ স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থির করতে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র আসছে। এর আগেও এখানে অস্ত্র এসেছে। বিভিন্ন গ্রুপে মারামারিও হয়েছে। যে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেও এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। যারা এ হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত বা বিদেশি কোনো সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসবে।

এটা পরিকল্পিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা কিছুই বলতে পারছি না। আমরা অনেক কিছুই সন্দেহ করছি। আমরা তদন্তের পর আপনাদের জানাবো।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা এখন শিথিল হয়ে গেল কীভাবে এমন প্রশ্নে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা শিথিল হয়নি। আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুর্দিকে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছি, সেটা কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চতুর্দিকে ওয়াচ টাওয়ার করছি সেটাও কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। রাস্তাঘাট তৈরি করছি। মনে রাখাতে হবে ১১ লাখ লোক সেখানে বাস করে। ১১ লাখ লোক দুটি থানার কিছু অংশে বাস করে। এত বিশাল জনগোষ্ঠীর সবকিছু মেইনটেইন করা খুব সহজ কাজ নয়।

তিনি বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেনাবাহিনী সমন্বিতভাবে ভালো কাজ করছে বলেই আইন-শৃঙ্খলা এখনও সঠিক রয়েছে। কক্সবাজার একটা পর্যটন এলাকা, সেখানে লাখ লাখ পর্যটন যাচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে বলেই সব কিছু ভালো অবস্থানে আছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন তিনি।

পাঠকের মতামত

কোনো মাস্টার মাইন্ড জামায়াত বিশ্বাস করে না : কক্সবাজারে শফিকুর রহমান

জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব মহান আল্লাহর, নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ...

বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, আটক ৩৩

বান্দরবানের আলীকদম সীমান্তে বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা। আজও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক ...

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার

অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ, সড়কের পাশের ময়লা এবং সমুদ্র ...