
নিউজ ডেস্ক::
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নানাভাবে উস্কানি দিয়ে সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে পূর্ণাঙ্গ নাগরিক মর্যাদা নিয়ে দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিসহ ২০ দফা দাবি সম্বলিত বাংলা ও ইংরেজিতে একটি প্রচারপত্রও প্রস্তুত করেছে তারা। বাংলাদেশের নিরাপত্তার হুমকি হওয়ায় রোহিঙ্গাদের এ ধরণের সংঘবদ্ধ হওয়া ঠেকাতে তৎপরতা শুরু করেছে শৃঙ্খলা বাহিনী।
কয়েকদিন আগে, দি ভয়েজ এন্ড ডিমান্ড অফ রোহিঙ্গা রিফিউজিস, নামে একটি ইংরেজি প্রচারপত্র হাতে পায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যে প্রচারপত্রে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের পাশাপাশি ২০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। কিন্তু এ প্রচারপত্র ইংরেজি থেকে বাংলায় রূপান্তরের পর ফটোকপি করে প্রচারের আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে জব্দ হয়ে যায়। এই প্রচারপত্র তৈরি এবং প্রচারের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ সন্দেহভাজন চারজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।
৩৪ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের প্রতি তাদের কিছু দাবি-দাওয়া সম্বলিত লিফলেট প্রচার করছে, যেটা আমাদের সরকার অ্যালাউ করে না। যারা এটা করেছে তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
মূলত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে আসা বিদেশি অতিথি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য ইংরেজিতে এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য বাংলায় এ প্রচারপত্র তৈরি করা হয়েছিলো বলে তথ্য পায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ধরণের প্রচারপত্র তৈরি এবং বিলিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে দেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, ‘সংগঠিত হওয়া তাদের একান্ত বিষয় কিন্তু আমাদের স্বার্বভৌমত্ব প্রতি হুমকি স্বরূপ কিছু না করতে পারে সেটাই আমরা খেয়াল রাখছি।’
এ অবস্থায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এসব রোহিঙ্গাকে প্রতিনিয়ত নজরদারির মধ্যে রাখার পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। এর আগে রোহিঙ্গাদের পক্ষে ২১ দফা দাবি প্রচারের অভিযোগে নভেম্বর মাসের শুরুতে নুরু নামে এক জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পাঠকের মতামত