
অনুমতি ব্যতীত রাস্তায় বসে নামাজ পড়া চলবে না। তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। রমজান মাস চলাকালীনই কড়া নির্দেশিকা জারি করলেন উত্তরপ্রদেশের মিরাটের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। এই নির্দেশ না মানলে কঠোর শাস্তির নিদানও দিয়েছে মিরাট পুলিশ। মিরাট পুলিশের এসপি আয়ুষ বিক্রম সিং বলছেন, বিনা অনুমতিতে রাস্তায় বসে নামাজ পড়লে পাসপোর্ট পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে।
এ ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতের কৌতুক অভিনেতা মুনাওয়ার ফারুকি। তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারে নামাজ পাঠ করা যাবে না, সাবধান করেছে মিরাট পুলিশ। নিয়ম লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এমনকি পাসপোর্ট ও চালকের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হবে। ৩০ মিনিটের নামাজের জন্য এত কিছু? এবার থেকে কি ভারতের রাস্তায় কোনো উৎসবই হবে না?’
অভিনেতা মুনাওয়ারের অসংখ্য অনুরাগী। তারাও মুনাওয়ারের এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ।
ইতোমধ্যেই পুলিশের এই নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংখ্যালঘুদের একাংশের বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে অহেতুক সংখ্যালঘুদের হেনস্তার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার পালটা যুক্তিও আসছে। কারও কারও বক্তব্য, প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত প্রার্থনাস্থল আছে। তাই সাধারণের অসুবিধা করে প্রার্থনা করা হলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতেই পারে।
পুলিশ সূত্র বলছে, রমজান মাসে প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে রাস্তা বন্ধ করে নামাজ পড়ছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় বিকল্প রাস্তা খুঁজে ঘুরপথে পৌঁছতে হয় গন্তব্যে। স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। ইদগাহ এবং মসজিদ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় এভাবে নামাজ পড়া নিয়ে মিরাট পুলিশের কাছে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে। সেটার ভিত্তিতেই ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত