
হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও রামুর সদা হাস্যেজ্জ্বল, পরিচ্ছন্ন এবং ত্যাগী ছাত্র নেতা- হোসাইন মাহমুদ রিফাতের জানাজা নামাজ রামু খিজারী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে- আগামী ১৯ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রিফাতের মামা আমিরুল কবির রাকিব খবরের সত্যতা নিশ্চত করেছেন। তিনি বলেন-আমেরিকা প্রবাসী মা খতিজা বেগম আদরের সন্তানের মৃতদেহ দেখতে ইতোমধ্যে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে আটটায় ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। এ কারণে রিফাতের মৃতদেহ বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
এদিকে রিফাতের পরিবারের সদস্যদেরকে সান্তনা জানানোর পাশাপাশি তাঁর মৃতদেহটি এক নজরে দেখতে রামুর শ্রীকুলস্থ বাড়িতে ছুটে যান- কক্সবাজার ৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদ হোসাইন তানিম, রামু উপজেলা ছাত্রলীগের অভিভাবক আমজাদ আলী খাঁন প্রমূখসহ সর্বস্থরের জনতা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোর চারটা নাগাদ রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকূল গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ বমি করেন রিফাত। এর পরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। রিফাতের বাবার নাম সৈয়দ আহমদ। তিনি আমেরিকা প্রবাসী। মা খতিজা বেগম এবং একমাত্র ছোট ভাই হাসান মাহমুদ আরফাতও
বাবার সঙ্গে আমেরিকায় থাকেন। হোসাইন মাহমুদ রিফাতের মৃত্যুতে কক্সবাজারে ছাত্র সমাজের মাঝে বিশাল শূন্যতা এবং শোকাবহ আবহ তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সর্বত্র শোকের মাতম চলছে।
পাঠকের মতামত