![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2017/08/FB_IMG_1502873307037.jpg)
রামু প্রতিনিধি ::
রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বন বিহারের দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৫ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে খবর পেয়ে কক্সবাজারের প্রশাসক (ডিসি) মোঃ আলী হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. ইকবাল হোসেন সকালে প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার পরিদর্শন করেছেন।
এসময় পুলিশ এবং পুলিশের বিশেষ শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দসহ রামু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নিকারুজ্জামান এবং রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শাজাহান আলি এবং বিজিবি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিহারাধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের জানান, ডাকাতরা সংঘবদ্ধ ছিল। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল। বিহারের ভেতরে ডাকাতি চলাকালীন সময়ে অন্তত সাতজন ডাকাত ছিল। বাইরে ডাকাত দলের আরো সদস্য ছিল বলে তার ভাষ্য।
বিহারের সেবক ধন বড়ুয়া জানান, ডাকাতরা নির্মাণাধীন বিহারের দুতলার খোলা জানালা দিয়ে মইয়ের সাহায্যে ভেতরে প্রবেশ করে। বিহারে ঢুকে প্রথমে তাকে জোরে লাথি মেরে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে। এরপর তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাবি দিতে বলে। তার চিৎকার শুনে বিহারাধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের রুম থেকে বাইরে এলে ডাকাতরা তাকেও জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে বিহারে অবস্থানরত জ্যোতিপ্রজ্ঞা শ্রামণ (১৪), পিজল বড়ুয়া (১১)সহ একে একে সবাইকে জিম্মি করে ডাকাত দল। প্রায় এক ঘন্টা ধরে তারা ডাকাতি চালায়।
বিহারাধ্যক্ষ সারমিত্র মহাথের জানান, ডাকাত দল নগদ ৪৭,৩৭০ টাকা, ৪টি দানবাক্স্রের দানকৃত টাকা লুট করে। এছাড়াও, ২টি মোবাইল, ৪টি বিদেশী টর্চ লাইট, একটি মনিটর (টিভি), ৩টি বিদেশী কম্বলসহ ৪টি আলমারি ভেঙ্গে আরো কিছু ব্যবহার্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারে কড়া অভিযান চালানো হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পাঠকের মতামত