প্রকাশিত: ২৯/০৩/২০১৮ ৮:০১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৫২ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
নানা অজুহাতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে রডের মূল্য। নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো পদক্ষেপ। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে মিলমালিকদের কাছে অসহায় পাইকারি-খুচরা ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, নির্মাণসামগ্রীর প্রধান উপকরণ রডের মূল্য গত এক মাসে বেড়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। বড় বড় মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে রডের মূল্য বাড়াচ্ছে। বাড়তি টাকা গুণছে ক্রেতারা। এ বিষয়ে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সঙ্কটে পড়বে নির্মাণ শিল্প।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিভেদে ৬০ গ্রেডের প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ৬৯-৭২ হাজার টাকায়। দুই মাস আগে যা ছিল ৪৮-৫০ হাজার টাকা। আর ৪০ গ্রেডের নিম্নমানের রড টনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৭-৬০ হাজার টাকায়। দুই মাস আগে যা ছিল ৪০-৪২ হাজার টাকা।

রাজধানীর মালিটোলা লেনের পাইকারি ব্যবসায়ী খাইরুদ্দিন অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক হাজী মো. খাইরুদ্দিন বলেন, গত কয়েক মাস ধরে রডের মূল্য বাড়ছে। দুই মাসে টনপ্রতি প্রায় ২০ হাজার টাকা বেড়েছে। মিলমালিকদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে রড কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিমূল্যও বেশি।


তিনি আরও বলেন, মিলমালিকরা বলেন কাঁচামালের আমদানি খরচ বেড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাল খালাস ও স্কেল বসানোর কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। তাই মূল্য একটু বেশি। আমরা তাদের কাছে অসহায়। তারা যা বলে তাই শুনতে হয়। কারণ তাদের কাছ থেকে রড এনে আমাদের ব্যবসা করতে হয়।

অপর রড ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, যখনই মালের চাহিদা থাকে মিলমালিকরা মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে নেয়। এবারও তাই হয়েছে। টনে ২০ হাজার টাকা বাড়িয়েছে। চিন্তা করা যায় দুই মাসে কী পরিমাণ ব্যবসা করছে?

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুনীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইস্পাত শিল্পের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মূল্য বাড়াচ্ছে। যার বড় অংশ উৎপাদক অর্থাৎ মিলমালিকরা। তারা গত দু-তিন মাসে টনপ্রতি রডের মূল্য বাড়িয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। এটি কোনোভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়িয়েছে। অতি মুনাফার আসায় মূল্য বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, মিলমালিকরা বলছেন উৎপদন খরচ বেড়েছে। রডের কাঁচামাল, পরিবহন ও ডলারের মূল্য বেড়েছে। তাদের অভিযোগ ঠিক আছে। কিন্তু এসব কারণে রডের মূল্য সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা বাড়বে। কিন্তু এখন বেড়েছে ২০ হাজার টাকা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সঙ্কটে পড়বে নির্মাণ শিল্প। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হয় ব্যবস্থা নেবে না হয় আমাদের ভর্তুকি দেবে।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের বাজেটের আগে ভ্যাট-ট্যাক্সের অজুহাতে এক ধাক্কায় রডের মূল্য টনপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়। কিন্তু বাজেটে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হলেও পরে আর কমানো হয়নি। এসব বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল দফতরকে কয়েক দফা অবগত করা হলেও দৃশতঃ কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও শাহরিয়ার স্টিল মিলস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে মাসুদুল আলম মাসুদ জাগো নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্য বেড়েছে, ডলারের মূল্যও বেড়েছে। দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে, পরিবহন খরচ বেড়েছে। এসব কারণে রডের মূল্যও বেড়েছে। এছাড়া সিজনাল কারণেও মূল্য কিছুটা বেড়েছে। এ সময় রডের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকে, যে কারণে মূল্যও কিছুটা বাড়ে।

পাঠকের মতামত

বিএনপির আসনভিত্তিক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত, কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমেদ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিএনপি। এরই মধ্যে হাইকমান্ড ...

পহেলা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা

১ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার ...

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ হারে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ

লাগাতার আন্দোলনের মুখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের পাঁচ ...

শাহজালাল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন, ঢাকাগামী ফ্লাইট যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতায়

হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬ টি ইউনিট করছে। আগুনের ...