
কক্সবাজারের হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের ৭০০ একর রক্ষিত বনভূমি প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (আইএএ)।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কক্সবাজারের ঝিলংজায় হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত পরিবেশগত সংকটাপন্ন ৭০০ একর গেজেটভুক্ত রক্ষিত বনভূমি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ একাডেমির ভবন নির্মাণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন অধিদফতর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মতামত উপেক্ষা করে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য অকৃষি ও খাস জমি দেখিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় এ বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া ও নেওয়া উভয় কর্মকাণ্ডই দেশের বিদ্যমান জাতীয় বন নীতি ১৯৯৪, বন আইন ১৯২৭, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৬ সহ পরিবেশগত বিভিন্ন বিধিমালার পরিপন্থী এবং এ ধরণের কাজে বনভূমি ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই।
এতে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা একসময় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতির আবাসস্থল হিসেবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এছাড়াও এ বনভূমি সাইক্লোনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখে। কিন্তু রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মানবিক ও কৌশলগত কারণে ইতোমধ্যে সরকারকে কক্সবাজার জেলার ছয় হাজার একরের অধিক বনভূমি বনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের অনুমতি দিতে হয়েছে। এখন প্রশিক্ষণ একাডেমির ভবন নির্মাণের নামে ৭০০ একর বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া হলে তা নিশ্চিতভাবে পরিবেশগত মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে। সুত্র: ঢাকাপোষ্ট

পাঠকের মতামত