উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
দেশজুড়ে আলোচিত চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মিতুকে কার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছিল, তা গত এক বছরেও বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। খুঁজে বের করতে পারেনি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সেই মূসাকেও। গত বছরের ৫ই জুন ভোরে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে খুন করা হয় মিতুকে। আগামীকাল সোমবার এ হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিতুর পরিবার।
অন্যদিকে পুলিশ সুপার বাবুল আকতার চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বর্তমানে ঢাকার মগবাজারের একটি বেসকারি হাসপাতালে চাকরি করছেন। তার দুই সন্তান এখন তার সঙ্গে বসবাস করছে।
তবে আসামি মূসার খোঁজে এখনও মাঠে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। চট্টগ্রামের অস্ত্র বিক্রেতা মূসা এক সময় নানা হত্যাকাণ্ডে ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করত। পরে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতে শুরু করে।
মদ, ইয়াবা কিংবা সোনার বড় চালান ধরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সময় বাবুল আকতারের কাছ থেকেও নানা সোর্স মানি নিয়েছে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে যেসব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সবাই বলেছেন মূসাই বাবুল আকতারের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে।
মূসাকে ধরতে ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সে খুনের ঘটনার পর থেকে পালিয়ে আছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত চলছে। কাজ থেমে নেই। সমস্যা হচ্ছে মূসাকে পাওয়া গেলে খুনের নির্দেশদাতার নাম জানা যেতো। তবে আমরা তদন্ত কার্যক্রম অনেক দূর নিয়ে গেছি। যদিও মূসার স্ত্রী দাবি করেছেন তার স্বামীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বহু আগেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মিতু হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যে পুলিশ সুপার বাবুল আকতার, তার চাচাতো ভাই, মিতুর বাবা-মা, নিহত এক পুলিশ কর্মকর্তার বোনসহ একাধিক ব্যক্তির মুখোমুখি হয়েছেন এই খুনের তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
জিজ্ঞাসাবাদে বারবারই মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়েছেন। একপর্যায়ে তিনি বলেছেন, তার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় যদি বাবুলের সম্পৃক্ততা থাকে তা-ও যেন খুঁজে বের করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল আকতারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বলেন, একটা বছর হয়ে গেল অথচ আমার মেয়েটাকে কারা খুন করলো, কার নির্দেশে করলো, কিছুই বের করা গেল না। মেয়ের শোকে তার মা এখনো সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন।
তিনি বলেন, মিতুর স্বামী বাবুলের ভূমিকা কী তা-ও আমরা জানতে চাই। সে চুপ কেন। তাকে বলতে হবে, কে আমার নিরাপরাধ মেয়েটাকে হত্যা করেছে।
মিতু খুনের ঘটনায় হঠাৎ করেই কয়েক মাস আগে বর্ণি নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার জড়িত থাকার কথা শোনা যায়। যদিও ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তার স্বামীর বোন ও পরিবারের সদস্যরা সম্পত্তির লোভে এই অভিযোগে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বাবুল আকতারের সঙ্গে তার কোনো সর্ম্পক নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলতে চাই না। তবে এটুকু বলবো, মূসাকে হন্যে হয়ে খুঁজছি আমরা। বাবুল আকতারকে ডেকে নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তাকে আরও ডাকবো। প্রয়োজনে আরও কথা বলতে হবে।
অন্যদিকে বাবুল আকতার এই ঘটনার বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। কিছুদিন পরপরই তিনি ফেসবুকে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব লেখায় বারবারই তার নিজের কষ্টের কথা শেয়ার করতে দেখা যায়। সুত্র:মানবজমিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আওয়াজ ...
পাঠকের মতামত