প্রকাশিত: ০৫/০৯/২০১৭ ৭:৩২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:০৩ পিএম

মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমানকে (২৩) হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা মো. জুলহাস দেওয়ান।

রাজধানীর আদাবর এলাকায় মশিউরকে গতকাল রোববার রাতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি আদাবর থানা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আর এ হত্যার অভিযোগে উঠছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তবে মাদক ব্যবসার জেরেই মশিউরকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা মো. জুলহাস দেওয়ান ও তাঁর পরিবার।

অপরদিকে নিহত ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত ব্যাপারে স্থানীয় সেই যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আদাবর থানায় গত মাসে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

নিহতের বাবা জুলহাস এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁরা আদাবর শেখেরটেক এলাকার ১১ নম্বর সড়কে থাকেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার সময় শেখেরটেক ১০ নম্বর সড়কের কাছে মশিউরের গতি রোধ করেন পূর্বপরিচিত কয়েকজন। তাঁরা মশিউরকে রড দিয়ে পেটান এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মশিউরকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় মশিউরকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক মশিউরকে মৃত ঘোষণা করেন।

জুলহাস দেওয়ানের দাবি, এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা মোল্লা স্বপন, মধু, সাগর, সেলিমসহ সাত-আটজন জড়িত ছিলেন। তাঁর ছেলে মশিউর স্থানীয় অনেককে মাদক ব্যবসায় বাধা দিতেন। আর এই কারণে কয়েক মাস আগে স্থানীয় ক্লাবে তাঁদের সঙ্গে মশিউরের মারামারি হয়। তাঁরা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করতেন।

নিহত মশিউরের বাবা জুলহাস আরো বলেন, নিহত মশিউর আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে। এ ঘটনার পর আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন তিনি। এতে সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, আসামি স্বপনের পরিবার বলছে, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে স্বপনকেই মাসখানেক আগে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিলেন মশিউর ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী। আর এ ঘটনার পরে স্বপনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম সবুজ বাদী হয়ে গত ৩ আগস্ট আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।

স্বপনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম সবুজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে তাঁর ছোট ভাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা স্বপনকে মাসখানেক আগে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিলেন নিহত মশিউর। এ ঘটনায় তিনি আদাবর থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন।

সবুজ আরো বলেন, গতকাল রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত স্বপন বাসাতেই ছিলেন। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। এরপর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। তাঁর ভাই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন না। কেন তাঁর নাম বারবার আসছে সেটাই বুঝতে পারছেন না তিনি। সবুজ আরো বলেন, ‘স্বপনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। স্বপন শুধু বলছে সে এই সবের কিছুই জানে না। কেন তার নাম আসছে, সে এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই ছিল না।’

এ ব্যাপারে আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

আদাবর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ বলেন, নিহত মশিউর থানা ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। হামলাকারী স্বপন যুবলীগের কোনো নেতা নন বা কোনো পদে নেই। কোনো নেতার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া রিয়াজ আরো বলেন, আদাবর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন জীবন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

পাঠকের মতামত

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ দুদকের মামলা

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ স্পেশাল ...

রাজাপালং ইউপি’র উপ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন চার চেয়ারম্যান প্রার্থী

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির উপ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ ...

আইনি লড়াইয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন হুমায়ুন কবির চৌধুরী

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উপনির্বাচনে মহামান্য হাইকোর্টের রাযে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক বাতিলকৃত মনোনয়ন ...