আমিনুল কবির :
কক্সবাজার শহরে অতিরিক্ত হারে বেড়েই চলছে মশার উৎপত্তি। মশার ভয়াবহ উপদ্রবে শহরের মানুষ এক প্রকার মশার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মশা বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কয়েল কিংবা এ্যারোসলে কাজ না হওয়ায় রাতের পাশাপাশি দিনেও মশার জ্বালায় ঘরে মশারী টাঙ্গিয়ে রাখতে হচ্ছে শিশুদের। শরৎ,বর্ষা,গরম,প্রায় সময় জনগণকে এখন লডতে হচ্ছে মশার সাথে। রাত আর দিন এখন মশার ভয়াবহ উপদ্রব ছডিয়ে পড়েছে শহরের সর্বত্রে। নর্দমা ও জলাশয়গুলো অতিরিক্ত আবর্জনার কারণে মশার জন্ম উৎপত্তি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আর শহরের অধিকাংশ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় যত্রতত্র ময়লা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু পৌরসভায় মশা নিধনের জন্য বিশেষ কোন বাজেট ও স্থায়ী পরিকল্পনা না থাকায় মানুষ দিন দিন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
শহরের কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল বলেন,অতিতের যে কোন সময়ের তুলনায় মশার উপদ্রব অতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। যার ফলে আমরা সব সময় মশার কামডে আক্রান্ত হচ্ছি বিভিন্ন রোগে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে,বিভিন্ন রোগবাহী এই মশা নিধনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও আমরা তার কোন সুফল পাচ্ছি না।
আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন জানান,দিনের বেলায় যেমন তেমন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই শুরু হয় মশার ভয়াবহ আক্রমন। এই উৎপাত এত বেশি যে মশার কামডে কোথাও শান্তিতে বসতেও পারিনা।
হোটেল মোটেল জোনের ব্যবসায়ী গফুর জানান,মশা এখন একটি আতংকের নাম। শহরের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে অত্যাধিক মশা বিস্তার লাভ করেছে। মশার কামড়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগ বিস্তার লাভ করলেও তা নিধনে পৌরসভার কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা।
পাঠকের মতামত