উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২/০৬/২০২৪ ৯:০৭ এএম

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে নানা কৌশলে ভারত ও মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে দেশে গরু-মহিষ আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলেছে, দেশের বেশ কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি পরিমাণে প্রাণী ঢুকছে। কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এটি হচ্ছে, আবার কখনো প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম নাজীব উল্লাহ ও আলী আজম রহমান শিবলী, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন খামার মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশে গবাদিপশুর লালন-পালন বৃদ্ধি পায়। দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ এ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কোরবানির ঈদের সময় প্রতি বছর দেশে ২০ লাখের বেশি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকে। চলতি বছরেও চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তারপরও ঈদুল আজহার আগে নানা কৌশলে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে দেশে গরু-মহিষ ঢুকছে।

চোরাইপথে আসা এসব পশু বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় হাট বসিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, এসব সীমান্তহাট থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে এসব পশু। এভাবে গরু আসায় বড় লোকসানের আশঙ্কা করছেন দেশের খামারিরা। এসব বিদেশি পশুর সঙ্গে নানা ধরনের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও ব্যবসায়ীদের শঙ্কা। এ অবস্থায় সীমান্তপথে গরু আসা বন্ধে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কুমিল্লার মীনা অ্যাগ্রো খামারের মালিক মো. সজীব জানান, গত কয়েক দিন তিনি কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সীমান্ত হাট ঘুরেছেন। এ সময় প্রায় সব হাটেই বিপুল পরিমাণে বিদেশি গরু বিক্রি হতে দেখেছেন তিনি। মো. সজীব বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের যোগসাজশে চোরাই গরু আনা হচ্ছে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার হাটগুলো চোরাই গরু দিয়ে ভরে গেছে। এ অবস্থায় কোরবানি মৌসুমের ব্যবসা নিয়ে আতঙ্কে আছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মোহাম্মদ ইমরান হোসেন জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কোরবানির হাটের উদ্দেশ্যে যারা গবাদিপশু লালন করেছেন, তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার গবাদিপশু আক্রান্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, এতে অন্তত ২৫ লাখ গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন মৃত্যুর খবর আসছে; এ ছাড়া প্লাবিত হয়েছে গবাদিপশুর ৯ হাজার ৭৫৯ একর চারণভূমি।

পাঠকের মতামত

হেলালী-মাহবুব-জাফর প্যানেলের পূর্ণ বিজয় উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে বহুল প্রতিক্ষীত সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-জেইউসি’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সর্ম্পন্ন হয়েছে। এতে ...

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুই আরোহীর

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ জন ...

মিয়ানমার সীমান্তে অপহৃত বাংলাদেশি নাগরিক দুলালকে উদ্ধার করল বিজিবি

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পোয়ামহুরী সীমান্ত থেকে অপহৃত বাংলাদেশি নাগরিক দুলালকে (৪০) উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড ...

উখিয়া -টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে মুহাম্মদ শাহজাহান “বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব অপরিহার্য”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনে ...

পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মীর কাসেম অসুস্থ, রোগমুক্তি কামনায় দোয়া প্রার্থনা

কক্সবাজার তথা বাংলাদেশের গৌরব পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মীর কাসেম। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ইউনিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ...