প্রকাশিত: ০৩/০৮/২০১৭ ৬:৩২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৪৬ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন ধরে অবস্থান করছেন লাবনী রানী (১৮) নামে এক তরুণী। ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে লম্পট প্রেমিক চন্দ্র কিশোর (২৫)।

ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নয়ানী বাকডোকরা গ্রামে।

উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব নয়ানী বাগডোকরা গ্রামের বাবু লালের মেয়ে লাবনী রানী। সে এবারে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তার প্রেমিক একই এলাকার জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে চন্দ্র কিশোর।

জানা যায়, জোতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে চন্দ্র কিশোর রায়ের সাথে একই গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের লাবনী রানীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে চন্দ্র কিশোর প্রেমিকাকে তার কাছে নিয়ে আসে। ভোররাতে বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে বাড়ি তেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে তার আশ্রয় মেলে বাড়ির বাইরে খোলা দাড়িঘড়ে। গত পাঁচদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন লাবনী রানী। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি মীমাংসার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার সরজমিনে ওই প্রেমিকা বলে, ’বড় ভাইয়ের ভালো একজন বন্ধু সে। তাই বাড়িতে আসা যাওয়ায় কোনো বাধা ছিল না। আমিও তাকে দেখতাম বড় ভাইয়ের মতোই। এক পর্যায়ে ভাই না থাকলেও সে বাড়িতে ঢুকে পড়তো। না করতে পারতাম না। আর এ সুযোগটাই সে কাজে লাগিয়েছে।

একদিন ভাই না থাকার সুযোগ বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। এরপর আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। ঘটনাটি পরিবারে জানানোর কথা বলতেই সে শিগগিরই বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে চুপ থাকতে বলে।

এরপর থেকে প্রতিদিন রাতেই তার ডাক পেতাম। বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে দেখা করতে যেতে হতো। এভাবে দুই দুইবার আন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ি। প্রতিবারই সে বাজার থেকে ওষুধ এনে গর্ভের শিশু নষ্ট করতে চাপ দেয়।

বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করতে থাকে। নানা যুক্তি-তর্ক করে। এভাবেই কেটে গেছে গত সাত বছর। এক পর্যায়ে জানতে পারি সে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করবে। জানার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ফোন দিই। সে সোজা বলে দেয়, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার বড় ভাই তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

ঘটনার দিন সে আমাকে তার বাড়ি যেতে বলে। পরিবারকে বুঝিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আমাকে বাড়িতে দেখতে পেয়েই সে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আর তার দেখা নেই। সে বিয়ে ছাড়া আমার সাথে সবই করেছে। এখন আমি চাই শুধু তার স্ত্রী হতে।’

লাবনীর বড় ভাই মলয় জানান, বন্ধুত্বের সুযোগে সে আমার বোনের সঙ্গে জঘন্য কাজ করেছে। এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গেল পাঁচদিন ধরে আমার বোন চন্দ্রের বাড়ির উঠোনে ঝড়-বৃষ্টির রাত উপেক্ষা করে রাতযাপন করছে।

অন্যদিকে চন্দ্র কিশোরের ভাই ব্রজ গোপাল রায় বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। এ সময় এই মেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে আমাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।’

বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

জেলার বিভিন্ন ইউপি কার্যক্রমে স্থবিরতা

দেশের তৃণমূল পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো তৃণমূলে বাস্তবায়ন করে ...