
মুহিবুল্লাহর ভাগনে এবং আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ)-এর মুখপাত্র রশিদ উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ছয় দিন পর ৫ অক্টোবর শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করেন তাঁরা। পরে স্বজনদের যুক্ত করে ১৩ অক্টোবর আবার দ্বিতীয় আবেদন করা হয়।
আবেদনপত্রে বলা হয়, ক্যাম্পে থাকতে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মুহিবুল্লাহর মতো যেকোনো সময় তাঁদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আপাতত তৃতীয় বিশ্বের যেকোনো মুসলিম দেশে যেতে পারলে নিরাপদ বোধ করবেন। তবে তাঁদের প্রধান পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া বা কানাডা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ উখিয়ার কুতুপালংয়ে ক্যাম্পে নিজ কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইউরোপের একটি দেশের পক্ষ থেকে মুহিবুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আপত্তি না থাকলে তারা নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গতকাল শনিবার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দোজা কোনো মন্তব্য করতে দিতে রাজি হননি।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, হুমকির বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন। তবে প্রাথমিকভাবে মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পের বাইরে একটি সেন্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। সুত্র: আজকের পত্রিকা

পাঠকের মতামত