
উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে প্রায় ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বসবাস। সরকার ১৭ মার্চ থেকে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করলেও এর আগে থেকে বিদেশ ফেরত যেসব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত স্বজনদের কাছে আশ্রয় নিয়েছে তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে ক্যাম্প প্রশাসন।
এছাড়াও আত্মগোপনে থাকা প্রবাসী রোহিঙ্গাদের তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করার জন্য বøক ভিত্তিক রোহিঙ্গা মাঝিদের নির্দেশ দিয়ে ক্যাম্পে সকল প্রকার জনসমাগম, অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণ জমায়াতে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে সর্তক অবস্থা।
এব্যাপারে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্প ইনচার্জ।
কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ১৭ মার্চের আগে বেশ কিছু রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া থেকে এসে ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এসময় তাদের বিচরণ দেখা গেলেও বর্তমানে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের উপর কড়াকড়ি আরোপ করায় ওইসব প্রবাসী যুবকদের আর খোঁজ মিলছে না।
তবে ক্যাম্প ইনচার্জ এব্যাপারে সক্রিয় হয়ে বøক ভিত্তিক মাঝিদের উপর নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন সদ্য বিদেশ ফেরত প্রবাসী রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নিয়ে জানানো হয়। বর্তমানে তারা কোথায় কোন অবস্থানে রয়েছে।
Interesting For YouMgid
ওই রোহিঙ্গা নেতা আরো জানান, ১৫ দিনে আগে সৌদি আরব থেকে এফ বøকের নুরুল ইসলামের ছেলে এবাদুল্লাহ নামের এক যুবক ক্যাম্পে তার স্বজনদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে সে ক্যাম্প ইনচার্জের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পর তার কাছে করোনা ভাইরাসের কোন সংক্রমক না পাওয়ায় তাকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করে প্রতিদিন ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসে হাজির থাকার নিদের্শ দিয়ে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্প ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সেক্রেটারীমোহাম্মদ নুর জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্যাম্প প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ক্যাম্পের মাঝিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যার যার অবস্থান থেকে কোন রোহিঙ্গা যাতে অহেতুক বাইরে ঘোরাফেরা না করে সেব্যাপারে কড়া নজর রাখতে।
এছাড়াও আপাতত স্কুল, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ক্যাম্পে সর্তক অবস্থা জারি করা হয়েছে। এব্যাপারে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য ক্যাম্পে সর্তক অবস্থা জারি করে সকল রোহিঙ্গাদের যার যার অবস্থানে থাকার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সাবান ও পানি সরবরাহ করছে ব্র্যাক। তারা প্রতিটি মহল্লায় করোনা সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের সচেতনতা মূলক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে।
এছাড়াও আরো কয়েকটি এনজিও সংস্থা করোনা ভাইরাস নিয়ে ক্যাম্পে কাজ করছে বলে ক্যাম্প ইনচার্জ জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত