প্রকাশিত: ০৭/০৭/২০১৭ ১:১৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:০৯ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে ডুবে এরই মধ্যে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এদেরই একজন ১৪ বছরের ছমিরা আকতার (১৪)। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনাইছড়ি গ্রামের দিন মজুর জাফর আলমের মেয়ে। বুধবার (৫ জুলাই) বাবার সামনে পা পিছলে বন্যার পানিতে পড়ে ভেসে যায় সে। বৃহস্পতিবার লাশ হয়ে বাড়িতে ফেরে ছমিরা।

ছমিরার বাবা জাফর আলম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বুধবার সারাদিনই গ্রামে পানি বাড়তে থাকে। জীবনে এত পানি কখনও দেখেনি। ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যায় আমার বাড়িটি। কোনও উপায়ন্তর না দেখে প্রাণ বাঁচাতে তিন মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। এক মেয়েকে কাঁধে এবং একজনকে হাতে ধরে ছমিরাকে পেছনে হাঁটতে বলি। গলা পরিমাণ পানির স্রোত পার হওয়ার সময় ছমিরা পা পিছলে খাদে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বন্যার পানিতে ভেসে যায় সে। এসময় চিৎকার করে বলছিল, বাবা আমাকে বাচাঁও। কিন্তু আমার করার কিছুই ছিল না। আমার কোলে আরও দুই মেয়ে ছিল। চোখের সামনে মেয়েটাকে ভেসে যেতে দেখলাম।’

সন্তান হারানো জাফর বলেন, তার ৫ মেয়ে। ছমিরা ছিল দ্বিতীয়। লেখাপড়ায় মেধাবি ছিল সে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু বন্যার পানিতে তার স্বপ্ন ভেঙে গেল।

ছমিরার চাচা শফি আলম বলেন, ৫ জুলাই সন্ধ্যায় পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয় তার ভাতিজি। ৬ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে সোনাইছড়ি ছড়ায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

ছমিরার মা নুরুচ্ছপা বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আল্লাহ কেন আমার মেয়েকে কেড়ে নিয়ে গেলো। আমি কী অপরাধ করছিলাম?’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, বাবার সামনে সন্তান হারানোর এমন ঘটনা যেন আর কারও জীবনে আর না এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।বাঃট্রি:

পাঠকের মতামত

রামু সহিংসতার ১২ বছর আজ

মামলায় আসামী করা হয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের, প্রত্যাহারের দাবি রামু সহিংসতার ১২ বছর আজ। ঘটনার পর ...

ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে মিয়ানমারের ১২০ সেনা ও সীমান্তরক্ষী সদস্যকে

দুই দেশের দূতাবাসের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত ...