
সীমান্তে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যৌথ টহল শুরু হয়েছে।রোববার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাঁড়ী সীমান্তের ৩৬ নং পিলার থেকে ৩৭ পিলার পর্যন্ত এলাকায় বাংলাদেশের বিজিবি ও মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা কাটাতারের বেড়ার উভয় পাশে টহল দেন।
যৌথ টহলটি এমন এক সময় হচ্ছে যখন বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মনজুরুল হাসান খান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ২০১০ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ সীমান্ত টহলের স্মারক সই হয়। ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্টের আওতায় এই যৌথ টহলের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের কোনও সমঝোতা ছিল না। মাস দেড়েক আগে এক পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের কাছে সীমান্তে যৌথ টহলের প্রস্তাব করা হয়।
তিনি আরো জানান, যৌথ টহলের ফলে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি চোরাচালান রোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব হবে।
বিজিবি সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্র, ঘুমধুম, বাইশফাঁড়ি, রেজু আমতলি ও তুইল্লার ঝিরি এলাকায় ৩১ নং পিলার থেকে শুরু করে ৩৮ নং পিলার পর্যন্ত ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে এই টহল চলছে।
সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে টহলের সময় সীমান্ত পিলারগুলোর অবস্থান নির্ণয় ও মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনাও হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ পরিবর্তন ডটকমকে জানান, সীমান্তের ওপারে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে হামলার ঘটনার পর সীমান্ত অতিক্রম করে রোহিঙ্গারা এদেশে ঢুকে পড়ছে। এছাড়া চোরাচালান মাদক পাচারসহ নানা সমস্যার কারণে সীমান্তে বসবাসকারীরা উৎকন্ঠার মধ্যে থাকেন। দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর যৌথ অভিযানের খবরে সবাই স্বস্তিতে আছে।
পাঠকের মতামত