প্রকাশিত: ০১/০৪/২০১৭ ৮:৪৯ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ দিনব্যাপি সীমান্ত সম্মেলন কাল রোববার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান এবং মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) চীফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ নিজ-নিজ দেশের পক্ষে এই সীমান্ত সম্মেলনে নেতৃত্ব দিবেন। শুক্রবার বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। এতে জানানো হয়, ঢাকায় সীমান্ত সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে মিয়ানমারের চীফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো শোয়ে উইনের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছবেন। পরদিন রোববার (২ এপ্রিল’১৭) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উভয় দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত সম্মেলন আনুষ্ঠানিক শুরু হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো শোয়ে উইনের নেতৃত্বে মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ মিয়ানমার প্রতিনিধি দলে রয়েছেন। খবর বাসসের। অপরদিকে বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে।

বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সার্ভে অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এ সীমান্ত সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বাড়ানোর মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা আরো জোরদার করা। এ লক্ষ্যে সীমান্ত সম্মেলনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে যে সব বিষয়ে আলোচনা করা হবে, সেগুলো হচ্ছে, সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, মাদক-নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিশেষ করে ‘ইয়াবা’ পাচাররোধ ও ইয়াবা উৎপাদনের উৎস ও নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

এছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তে বিজিপি সদস্যদের হাতে বাংলাদেশী জেলেদের হয়রানিমূলক আটক, বিওপি/কোম্পানী/ব্যাটালিয়ন/সেক্টর পর্যায়ে নিয়মিত পতাকা বৈঠক ও সমন্বিত টহল এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে খেলাধূলার আয়োজন ও প্রশিক্ষণ বিনিময়ের মধ্যদিয়ে আস্থা বাড়ানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারেও বিজিবি’র পক্ষ থেকে এ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।

অপরদিকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সীমান্ত সন্ত্রাস/অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধ, আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিক বিশেষ করে জেলে ও মাছ ধরা নৌকা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, মাদক পাচার প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

এ সম্মেলনে পর্যায়ক্রমিক আলোচনা শেষে উভয়ের মধ্যে যৌথ দলিল স্বাক্ষরের পূর্বে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

আগামী ৬ এপ্রিল সম্মেলনের যৌথ দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...