প্রকাশিত: ১০/০১/২০১৭ ৭:৫৭ এএম

সরওয়ার আলম শাহীন::

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকাটি এমনিতেই ইয়াবা বানিজ্যের ঘাটি হিসেবে পরিচিত।তার উপর বালুখালীতে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে রোহিঙ্গা বস্তি।একদিকে ইয়াবা অন্যদিকে রোহিঙ্গা।দুয়ে মিলে বালুখালী বাজারটিতে অপরাধীদের আড্ডাস্থল বানানোর পরিকল্পনা হিসেবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বনবিভাগের বিশাল এলাকা জুড়ে রোহিঙ্গা বস্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় মেম্বার নুরুল আবছার ও ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়া গড়ফাদার বখতিয়ারের ভাই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট।সিন্ডিকেটটি সীমান্তবর্তী বালুখালী বাজারকে রোহিঙ্গা বাজার বানানোর জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ প্রসাশনকে ম্যানেজ করেছে বলে জানা গেছে।

সুত্র জানায়,মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পুলিশ ও রাখাইন সম্প্রদায়ের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিরাট একটি অংশ বর্তমানে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পের আশেপাশে বনবিভাগের বিশাল জায়গায় বস্তি বানিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের নিয়মিত সাহায্য সহযোহিতা দিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু এনজিও। কুতুপালং ক্যাম্পে পুলিশ থাকা সত্বেও এসব রোহিঙ্গারা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জীবনযাপন করছে। কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রসাশন এমনিতেই বেকায়দায় রয়েছে। তার উপর বালুখালী এলাকায় রোহিঙ্গা বস্তি নির্মানকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অন্তরায় হিসেবে দেখছেন স্থানীয় জনগন। স্থানীয় জনগনের মতে,দুরভিসন্ধিমুলক তৎপরতার অংশ হিসেবে বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তি নির্মান করে যাচ্ছে স্বর্থন্বেষী মহল।তাদের মতে,এমনিতে বালুখালী ইয়াবা পাড়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,তার উপর রোহিঙ্গা বস্তি নির্মান করা হলে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হবে ইয়াবা পাচারে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী বখতিয়ারের পরিবার, এনামুল হক,ইমাম হোসেন সহ বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর অর্থয়ানে মেম্বার নুরুল আবছার বালুখারলীতে রোহিঙ্গা বস্তি নির্মানে বিপুল পরিমান টাকা ব্যায় করে যাচ্ছেন।নির্মানকৃত এসব বস্তিতে রোহিঙ্গাদের ফ্রি থাকাসহ খাওয়া খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফ্রি থাকা খাওয়া সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা মিয়ানমারের প্রচার পাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে আবারো ব্যাপক হারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটছে। সীমান্তে নিয়োগ করা দালাল মারফত বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে রোহিঙ্গাদের সমাগম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগনের ভাষায় বস্তি নির্মানের উদ্দেশ্যে একটাই সীমান্ত লাগোয়া রোহিঙ্গা বস্তিতে ইয়াবার মজুদ গড়ে তোলা এবং রোহিঙ্গাদের দিয়ে তা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা।স্থানীয় জাফর ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, তার জায়গা সহ বেশকিছু জায়গায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে মেম্বার আবছারসহ তার লোকজন। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এভাবে বস্তি গড়ে তুললেও প্রসাশন এ ব্যাপারে নিরব ভুমিকা পালন।ফলে প্রসাশনের ভুমিকা নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। উখিয়া রেজ্ঞ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন,বনবিভাগের বিশাল এলাকা রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে।স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রশয় দেওয়ার ফলে রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে গেছে।ইতিমধ্যে বস্তি উচ্ছেদ করতে বনকর্মীদের উপর হামলা করেছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ইন্ধন ছাড়া রোহিঙ্গাদের এত সাহস নেই যে সরকারী লোকজনের উপর হামরা করার।

পাঠকের মতামত

চকরিয়া থানা থেকে লাশ উদ্ধার: মামলা গ্রহণ করতে এসপিকে জেলা জজের নির্দেশ

কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজত থেকে কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা গ্রহণ ...