
বঙ্গোপসাগরে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে রমজান আলী (৩৫) নামে এক জেলে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
রমজান আলী উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের রোমাইপাড়া এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি চার সন্তানের জনক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার কথা বলে রমজানকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন সাগরতরী নামের একটি ট্রলারের মালিক কাইমুল বশর, আবুল বশর এবং মাঝি কালু। ট্রলারটির ২৭ মাঝিমাল্লার সঙ্গে কাইমুলও ছিলেন। সাধারণত মালিকরা ট্রলারের সঙ্গে সাগরে যান না।
আরও জানা যায়, মঙ্গলবার ট্রলার থেকে মহিপুরে নেমে বাড়িতে চলে আসেন মালিক। সেখান থেকে অন্যরা আবারও মাছ ধরতে সাগরে চলে যান। এরই মধ্যে খবর আসে ২৭ জনের মধ্যে রমজান সাগরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন। সেই থেকে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৯টায় এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। যদিও তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা কানাঘুষা চলছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, ট্রলারের বাকিরা জীবিত থাকলেও একজন কীভাবে নিখোঁজ হয়েছেন।
স্বজনদের অভিযোগ, সাগরে যাওয়ার আগে কাইমুলের সঙ্গে রমজানের টাকা-পয়সা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তাই তিনি তাদের সঙ্গে যেতে চাননি। তাকে জোর করে এবং নানা হুমকি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের দাবি, ডেকে নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মালেককে অবগত করেছেন।
এই ব্যাপারে মালেক বলেন, আমি ট্রলারের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন রমজান মাছ ধরতে গিয়ে সাগরের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন।
এই ব্যাপারে কথা বলতে ট্রলারের মালিক কাইমুলের মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত