
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারিমা জাহান অস্বস্তিতে রয়েছেন। তার নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে অপপ্রচারই মূলত তার এ অস্বস্তির কারণ। এ অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন তিনি। ভুক্তভোগী নারিমা জাহান বলেন, কয়েক মাস আগে আমি জানতে পারি আমার নামে ফেক আইডি খোলা হয়েছে। এরপর সমপ্রতি আমার নামে একাধিক ফেসবুক আইডি দেখতে পাই। ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক এবং বিব্রতকর। তাই আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য থানায় একটি জিডি করেছি। ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, অজ্ঞাত প্রতারক চক্র ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে নিয়মিত অশ্লীল ভাষায় চ্যাট করছে, যা তার এবং তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত ভোগান্তি এবং বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। ফেসবুকে ফেক আইডি মানেই সীমাহীন ভোগান্তি, চরম বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া। এমনটিই হয়েছে তার। গত কয়েক দিন ধরে তিনি সীমাহীন মানসিক চাপে রয়েছেন বলেও জানান। নারিমা জাহান এ বিষয়ে তার সব শুভানুধ্যায়ীর প্রতি তাকে কোনো ধরনের ভুল না বুঝতে এবং এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের প্রতি সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। শুভাকাঙক্ষীদের উদ্দেশে তিনি নিজের প্রকৃত এবং তার একমাত্র আইডি লিংকটি শেয়ার করে বলেছেন যে, এই আইডির বাইরে অন্য কোনো আইডি থেকে যদি রিকোয়েস্ট বা চ্যাট করা হয় তাতে যেন কেউ রিপ্লাই না দেন এবং এ নিয়ে যেন তার প্রতি কোনো ধরনের ভুল ধারণার সৃষ্টি না হয়। নারিমা জাহান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আমার নামে একাধিক ফেক আইডি করা হয়েছে এবং সেগুলো থেকে অশ্লীল ভাষায় চ্যাট/পোস্ট/ কমেন্ট করা হচ্ছে। আমি ছাত্ররাজনীতি করি। আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী যেমন আছে, ঠিক তেমনি ষড়যন্ত্রকারীও আছে। কিছু অশুভ লোক আমাকে এবং আমার সংগঠনকে জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব নোংরা পন্থা অবলম্বন করছে। ইদানীং ফেক আইডিগুলো এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই চেষ্টা করুক আমাকে বা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে নারিমা বলেন, তোমরা সমাজের আবর্জনা। তোমাদের সমাজে বাস করার কোনো অধিকার নেই। তোমাদের যোগ্য স্থান হচ্ছে কারাগার। ষড়যন্ত্রকারীরা অপেক্ষায় থাকো। তিনি আশা করেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা আইনের হাতে ধরা পড়বে। মানবজমিন
পাঠকের মতামত