মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা
প্রথমে আমরা চাই আপনি নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন আপনি বাঁচলে আমরা বাঁচি আপনি জিতলে আর হাসলে আমরা খুশি,আপনি সুস্থ থাকলে আগামীর প্রজন্মরা অনেক কিছু পাবে,হয়তো আমার এই তুচ্ছ কথা আপনাকে খুশি করাতে নই,বরং আপনার সুদূর দৃষ্টি আর্কষণ করাতে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছোট বেলায় মায়ের মুখে নানু ভাইয়ের যুদ্ধে যাওয়ার কথা শুনতাম আমার মায়ের বয়স তখন ৬/৭ বছর নানু ভাই একজন হাবিলদার ছিলেন, যুদ্ধচলাকালীন ওনি যখন যুদ্ধে যায় আমার মাকে বলে কয়েকদিন পর ফিরে আসবো দেখিস চারবোন তোরা ভাল থাকিস আমার মাও দিন গুনতো যুদ্ধ শেষ হলে বাবা ফিরে আসবে,কিন্তু মাননীয় নেত্রী যাক ফিরে আসা দুরের কথা যার লাশটা ও আমার মা দেখেনি,যাই হোক আমার মায়ের চেয়ে আপনার দুঃখ টা অারো কষ্টকর কাছে থেকেও বাবা তিলে তিলে কষ্ট পেতে দেখেছেন!!! এই রকম ৩০ লক্ষ রক্তের বন্যার উপরে আমাদের একটি সার্বভৌমত্ব হয়েছে! গর্বিত আমি নিজের ভাষায় কথা বলতে পারছি চলাফেরার অধিকার পেয়েছি, যারা আমাদের এই স্বাধীনতা দিয়ে তাদের হাজারো স্যালুট যদি তাঁরা জীবন ন্ দিত আমরা হইতো আজ মৃত কিংবা ক্রীতদাস হয়ে থাকতাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ টা শুনলে আমরা না যে কোন দেশ প্রেমীর লোম খাঁড়া হয়ে যাবে! মাননীয় নেত্রী আজ অতি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, মহিলা আওয়ামীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কেমনে একজন ছাত্রী সংস্থার মেয়ে স্থান পায় কেমনে আপনার কাছাকাছি যেতে পারে মাননীয় নেত্রী আপনার বাবা ও খন্দকার মোস্তাক কে বিশ্বাস করে বুকে নিয়েছিলো!! তার প্রতিদান আমরা ভোগেছি জনগণ ভোগছে আজ ৪২ টা বছর, আমরা আপনাকে হারাতে চাই না! আপনার বাবার মতো আপনি ভুল করবেননা, আপনি আমাদের মা আমাদের এতিম করবেন না,,আমরা বড়ই নিরুপায়, আপনি সুদৃষ্টি নিয়ে দেখুন রিজিয়া নদভী নামের মহিলাটি কিভাবে মহিলা আওয়ামী লীগে এখনো কেন্দ্রীয় সদস্য পদে বহাল যাকে নিয়ে দেশ জুড়ে এতো সমালোচনা,!কেমনে পাই। ভুল হলে মাফ করবেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদের টাইম থেকে কিছু কথা তুলে ধরলাম,
কার্টেসী: শহীদ আবদুল আলীম চৌধুরী তনয়া ডা: নুজহাত চৌধুরী
‘শুধু জয় বাংলা শ্লোগান দিলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হওয়া যায়? যার রক্তে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপরাধীর রক্ত, সে কি করে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মর্যাদা বুঝবে? সে কি করে এই রক্তে ভেজা মাটিকে ভালবাসবে? কখনই সম্ভব না। শুধু আওয়ামী লীগে যোগদান করলেই আওয়ামী লীগার হওয়া যায় না। এটা বঙ্গবন্ধুর দল, এটা তাজউদ্দীন আহমেদের দল, সৈয়দ নজরুল ইসলামের দল। এই মানের নেতাদের হাতে গড়া এই দলে যাকে তাকে নেয়া যায় না। যে কেউ বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হবার যোগ্যতা রাখে না। এত কি দেউলিয়া হয়ে পড়লো আওয়ামী লীগ যে তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী এই দলে দূষিত জামাতী রক্তের লোকদের নিতে হবে? তার কোটি কোটি ত্যাগী কর্মীদের মধ্যে কেউ নেতৃত্বে আসার যোগ্য নয়? আমার বিশ্বাস, যারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের দাম বোঝে, চার নেতার আমৃত্যু বিশ্বস্ততার উদাহরণকে বুকে ধারণ করে, শুধু বেছে বেছে তাদের নিলেও কোটি জনতা পাওয়া যাবে দলে। আমরা যেন বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক চিনতে ভুল না করি। এরা যারা ঢুকছে তারা শুধু স্বার্থের জন্য ঢুকছে, দেশটাকে শুষে রক্তশূন্য করার জন্য। বার বার বঙ্গবন্ধু কন্যা বারণ করছেন বিপরীত আদর্শের লোক দলে না নিতে। তারপরও ঢুকছে কিভাবে? অনেকেই বলছেন পিতার অপরাধে কেন সন্তান শাস্তি পাবে। আমার প্রশ্ন, পিতা যে অপরাধ করেছিলো সেটা কি তারা কখনও স্বীকার করেছে? তার জন্য পিতাকে বলেছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে? তারা নিজেরা কি মাফ চেয়েছে পিতৃপুরুষের অপরাধের জন্য? নাকি সেই অপরাধী পিতার নষ্ট সম্পদ ভোগ করে সেই টাকা দিয়েই এখন সমাজে, দলে জায়গা দখল করছে? এর পরিণতি ভাল হবে না। জামাতের রক্তে বিষ আছে, যেখানে সেই বিষ ঢুকবে, তাকেই ধ্বংস করবে। দল বা দেশকে ধ্বংসের জন্য তখন দোষ কার বেশী হবে – জামাতের? জামাতী অনুপ্রবেশকারীর? নাকি যারা তাদের দলে ঢুকাচ্ছেন তাদের? আমাদের খুব কষ্টে পাওয়া এই দেশটা অনেক আশা নিয়ে আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি, সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করবেন না – এক শহীদ সন্তান হিসেবে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ।’
এই রকম হাজারো টাইম লাইনে মুখরিত আমাদের তরুণ সমাজ তারা বিভ্রান্ত! আপনার দৃষ্টি আর্কষণ করছি
,ইতি
একজন ক্ষুদ্র ছাত্রলীগ কর্মী
শেফায়েতুন নিসা সোমা।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।উখিয়া নিউজ -এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য উখিয়া নিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের খোলা চিঠির বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।
পাঠকের মতামত