ওসি প্রদীপকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরটি গুজব: কারা অধিদপ্তর
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপের ফাঁসির খবর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ ...
আমি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধীন, ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু’র প্রবীণ বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ এর সন্তান মাঈন উদ্দিন।
আমার বাবা দিল মোহাম্মদ মেম্বার ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঘুমধুম ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার সেজ ভাই এম.এ.জি ওসমানী ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। তাছাড়া আমার পুরো পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আমিও বিএনপি পরিবারের একজন ক্ষুদ্র সদস্য হিসেবে দলের দুঃসময়ে কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের প্রত্যেকটি মিছিল-মিটিং এ সবসময় সরব উপস্থিত ছিলাম। ছাত্র জীবন থেকে অদ্যবধি চলার পথে সকল মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডার বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু ব্যক্তি আমার ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্মদিনের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিয়ে এডিট করে সাংবাদিক ভাইদের প্রেরণ করে ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আওয়ামীলীগ আমলে ঘুমধুম ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে আমার পরিবার!
নির্বাচনী প্রচারণায় তুমব্রুতে সাচিং প্রু জেরী’র আগমনে সভাপতিত্ব করে বক্তব্য দেওয়ায় আমার পুরো পরিবারকে দীর্ঘদিন তুমব্রু বাজারে নামতে দেইনি আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা।
২০১৮ সালে নির্বাচনে আমার বড় ভাই মহি উদ্দিনের দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এতকিছু করেও কান্ত হয়নি তারা, পূর্বের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়নে মিথ্যা পাহাড় কাটা মামলায় আমার বাবা, ভাবিসহ পরিবারের ৫ সদস্য কে জেল খাটতে হয় আওয়ামীলীগ আমলে।
আমি একজন তুমব্রু বাজারের দীর্ঘদিনের সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আমাকে ওএমএস ডিলার হিসেবে মনোনীত করে। তা দেখে কিছু দলখানা লোক আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। গত কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি সংবাদে আমাকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। আওয়ামী অঙ্গ-সংগঠনের কোন কমিটিতে আমি ও আমার পরিবারের নাম দেখাতে পারলে আমি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব। প্রকৃতপক্ষে আমি ভিলেজ পলিটিক্সের স্বীকার!
সুতরাং সুবিধাবাদী লোকদের মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচারে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জাতীয়তাবাদী পরিবারকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইল। পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইদের যাচাই-বাছাই পূর্বক নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী…
মাঈন উদ্দিন
ওএমএস ডিলার: তুমব্রু বাজার,
ছাত্রদল কর্মী: ঘুমধুম ইউনিয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।
পাঠকের মতামত