
শ.ম.গফুর,উখিয়া::
তসলিমা বেগম(২১)।বাবা দিল মোহাম্মদ। সে উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ি বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুম আজুখাইয়া, ফকির পাড়ায়।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুমে গাছ খেকোদের হামলা থেকে পিতাকে রক্ষা করতে গিয়ে সে নিজেই ব্যাপক মারধরের শিকার হয়েছে।তাকে গুরুতর আহত করে মাটিতে লুটিয়ে ফেলে গাছখেকোরা।
অভিযোগ উঠেছে,এ সংক্রান্তে ঘুমধুম ইউনিয়নের উত্তর ঘুমধুম আজুখাইয়া ফকির পাড়া গ্ৰামের দিল মুহাম্মদ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তার বাড়ির দক্ষিণ পাশে সৃজিত বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ একই গ্ৰামের কাদের হোসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার দিকে বে-আইনি ভাবে প্রবেশ করে গাছ কাটতে থাকে।ওই সময় বাগানের মালিক দিল মুহাম্মদ এসে বারণ করলে, কাদের হোসেনের পুত্র শামসুল আলম, হাফেজ আহমদ, শাহ আলম, মৃত কালু সওদাগরের পুত্র শাহজাহান, রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও শুক্কুরের ছেলে কবির আহমদ এসে দিল মুহাম্মদ কে উল্টো বেধড়ক পেটাতে থাকে।
এই দৃশ্য দেখে সহ্য করতে না পেরে, দিল মুহাম্মদের শোর চিৎকারে তার উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া কন্যা তসলিমা বেগম (২০)পিতাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকেও এলোপাতাড়ি লাথি, কিল, ঘুষি মেরে শারীরিক ভাবে মারাত্মক জখম করে।এতে গুরুতর জখম হয়ে তসলিমা মাটিতে লুটে পড়ে। এ সময় পিতা চিৎকার করতে থাকলে পাশ্বর্বর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তসলিমা কে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ দিকে তসলিমার পিতা নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে গাছ খেকো চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের অব্যাহত হুমকিতে পড়েছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে দিল মোহাম্মদের পরিবার।
গাছখেকো হামলাকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়াতে ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন তারা।বাবা-কন্যার উপর নির্যাতনকারীরা অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ায় টাকার জোরে যেকোন সময় আবারো হামলা- মামলা সহ অঘটন ঘটাবে বলে শংকিত নির্যাতিত পরিবারটি।ন্যায় বিচার পাওয়া প্রবল আশংকা করছেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী তসলিমা।বাবা ও কলেজ পড়ুয়া কন্যাকে নির্যাতনের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিবাদি পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে,কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন,ঘুমধুমে দুইজন আহত হওয়ার ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত