
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কিংবা নিবন্ধন ছাড়াই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ও আশপাশের বাজারগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মোবাইল ফোন কোম্পানির সিম কার্ড। এমনকি সিম পাচার হচ্ছে মিয়ানমারেও। অথচ রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বিষয়টি স্বীকার করে জেলার পুলিশ সুপার জানালেন, এ ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন তারা।
কক্সবাজারের উখিয়াও টেকনাফের শরণার্থী ক্যাম্প গুলো ঘুরে দেখা যায় বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নাগরিক ব্যবহার করছেন বাংলাদেশি মোবাইল কোম্পানির সিম কার্ড। কেউ এগুলো সংগ্রহ করেছে আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে। কেউ আবার কিনেছে স্থানীয় বাজার থেকে। মিয়ানমারে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও স্বীকার করছেন তারা। এমনকি অবৈধ পথে মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশি সিম।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘অনিবন্ধিত সিম আমরা ব্যবহার করি। ব্যবহারের কয়েকদিন পরে বন্ধ হয়ে যায়।’
কুতুপালংয়ের পাশের বাজারে দেখা যায় মোবাইল ফোনের দোকান গুলোতে রোহিঙ্গাদের ভিড় সব চেয়ে বেশি। বিক্রেতারাও বলছেন বেচা কিনা আগের চেয়েও বেশি। তবে এসব সিম কার্ড বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না কেউই।
বিক্রেতারা বলেন, ‘আগে যদি ১০-১৫ টি বিক্রি হতো এখন ২০-২৫টি বিক্রি হচ্ছে।’
এদিকে জেলার পুলিশ সুপার বলছেন অবৈধভাবে সিম কার্ড বিক্রির বিষয়টি নজরে রয়েছে তাদেরও। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে তারা।
অবৈধভাবে সিম বিক্রির দায়ে এখন পর্যন্ত দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা।
বর্তমান সময়ে বাস্তবতার তাগিদে হয়ত বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু এসব অনিবন্ধিত সিম ব্যবহার করে অপরাধ করার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাছাড়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের কাছে সিম বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে টেলিটকের বুথ স্থাপন করার। কিন্তু সেই উদ্যোগ চোখে পড়েনি এখনও।
পাঠকের মতামত