![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/Picsart_22-02-22_17-40-18-124.jpg)
কুড়িগ্রাম সদরের খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে শেফালী বেগম (৩২) এক নারী এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে শোবার ঘর থেকে গলায় দড়ি পেচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শেফালী বেগমের বাড়ী জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মন্ডলপাড়া গ্রামে। তিনি খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কাজল নামে একজনের বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।
তিনি শহরের ত্রিমোহনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পে’ থানা অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। ঘটনার পর থেকে রঞ্জুকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এটি আত্মহত্যা কিনা সেটি নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ভাসছে।
নিহতের সহকর্মী সাথী জানান, তিনি অসুস্থ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বেলা ১২ টার দিকে শেফালীর সঙ্গে তার মুঠোফোন কথা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে শেফালীর স্বামী প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। সন্ধ্যায় শেফালীর বাসায় গেলে ঘরের দরজা বন্ধ। সন্দেহ হলে বাড়ীর লোকজন পুলিশে জানালে তারা এসে দরজা খুলে আধা বসা অবস্থায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ছিল।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর আসেনি। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি আসতে চেয়ে ফোন অফ করে রেখেছেন। তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
বাড়ীর মালিক কাজলের ভাই বাদল বলেন, তারা গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ী ভাড়া নিয়েছিল। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে এনজিওতে চাকরি করেন। তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে আছে। সে নানার বাড়ীতে থাকে। আজকের ঝগড়ার বিষয়টি জানি না। কেউ কেউ বলছে শুনছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত