উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চল টেকনাফ সীমান্ত অরক্ষিত। পৌরসভার নাইট্যংপাড়া ও সদর ইউনিয়রনের বড়ইতলী পয়েন্ট দিয়ে চলছে অবাধ মিয়ানমার লোক পারাপার। আসছে স্বর্ণ ও ইয়াবার চালান। জড়িত রয়েছে পাচারকারী ইসলামের স্ত্রী, নূর খালেক, বার্মাইয়া শুক্কুর, শামসু সহ হাফেজ আহমদ মিলে কয়েকটি আলাদা আলাদা সিন্ডিকেটের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপজেলার টেকনাফ পৌরসভাস্থ নাইট্যং পাড়া ও বড়ইতলী এলাকাটি নাফ নদীর টত ঘেষা। ম্যানগ্রোব বনের সারি বাধা গাছ গুলো আড়ালে চলে বিভিন্ন চোরাচালান। কারন গাছের সারি বাধা প্রাচীরের কারনে নদীতে টহলরত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোক ফাঁকি দিয়ে আবাদে চোরাচালান খালাস করে নির্বিঘ্নে পার পেয়ে যাচ্ছে গুটি কয়েক কালোবাজারী নারী পুরুষ।
তবে সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যদের মধ্যে কতিপয় সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
গেলো বছর ৯ অক্টাবর থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পারাপার বন্ধ থাকার কারনে এসব অবৈধ আদম পাচারের ঘাট দিয়ে নির্বিঘ্নে লোক পারাপার চলছে। সাথে স্বর্ণ চোরাচালান ও ইয়াবার চালান আসছে অনায়াসে।
সম্প্রতি আদম পাচারকারী ইসলাম ও তার পুত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হওয়ার পরেও তার স্ত্রী সহ বার্মাইয়া শুক্কুর, শামশু, নূর খালেক এবং বড়ইতলীর হাফেজ মিলে ঘাট চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে নাইট্যং পাড়া আরএম ফিশারীজের উত্তর পাশে ও বড়ইতলী অবৈধ ঘাট দিয়ে মিয়ানমারে লোক পাচার কালে ভিডিও চিত্র প্রমান করে এইসব ঘাট দিয়ে কি ঘটে প্রতি নিয়ত। মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে জানিয়েছ আটক হওয়া ইসলামের স্ত্রী। আবার অনেক সময় মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আমদানীকালে মিয়ানমার দলিয়া পাড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আবছার উদ্দীন(২০)র কাছে ইয়াবা কেড়ে নিয়ে হজম করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
বড়ইতলী হাফেজের ঘাট দিয়ে আদম পাচারের পাশা-পাশি স্বর্ণ চোরাকারবারীদের চুক্তি ভিক্তিক স্বর্ণের চালান খালাস করার বিষয় উঠে এসেছে স্থানীয়দের সাথে আলাপ কালে। এই সব কাজ চালিয়ে যেতে সহায়তা করে বিজিবি’র কতিপয় বিপদগামী টহল পার্টি।
বিগত সময়ে বিজিবির উপস্থিতিতে আদম পাচারকালীন সময়ে মেজবাউল নামের এক বিজিবি সদস্যকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জৈনক ছৈয়দ আলমের কাছে উত্তর জানার জন্য বলেন।
সূত্র জানিয়েছে, বিজিবিকে টুপাইস দিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের অজান্তে এইসব অবৈধ ঘাট বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারীরা।
রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মি.মোজাম্মেল হক জানান,এই ভাবে অবৈধ ঘাট দিয়ে অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলে দেশের সার্বভোমত্বের উপর আঘাত আসবে। যার ফলে দেশে বিরাজমান রোহিঙ্গা সমস্যা কিছুতে সমাধান সম্ভব নয়। তিনি এইসব দেশ বিরোধী অপকর্মে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
এদিকে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মি. এস এম আরিফুল ইসলাম এই বিষয়টি তিনি অবগত হয়ে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যদের তিনি অন্যত্র বদলি করা হয়েছে এবং উক্ত ঘাট গুলো সিল করা হয়েছে এদিকে ঘাট দিয়ে অদম পাচার অব্যাহত থাকলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে এই সব ঘাট বানিজ্য বন্ধ করা না গেলে চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ করা সম্ভব নয়।
আবার হাফেজের ঘাট দিয়ে সম্প্রতি চিহ্নিত মিয়ানমার স্বর্ণ পাচারকারীরা বেশী আনাগুনা করছে বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। তাই হাফেজ কে নজরদারী করে আইনের আওতায় আনা অত্যান্ত জরুরী বলে মত দিয়েছেন এলাকাবাসী।
পাঠকের মতামত