গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::
সীমান্ত ও পর্যটন নগরী টেকনাফ উপজেলার সৌন্দর্য্য ঘেরা নাফ নদীটি মিয়ানমারের ইয়াবা পাচারের ঘাটি ও আগ্রাসন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। পর্যটকদের আকর্ষণ করা এই নদীটির উপর দিয়ে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ ও টেকনাফের বদনাম দুর করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। ইয়াবা পাচার ঠেকাতে রাতের বেলায় হত দরিদ্র জেলেদের মাছ শিকার না করার নির্দেশ জারি করেছে সরকার। এদিকে দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা। তথ্য সুত্রে জানা যায়, এই ইয়াবাগুলো বাহক হিসেবে পাচার করে নিয়ে আসছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। তাদেরকে সহযোগীতা করছে টেকনাফ উপজেলার গুটি কয়েক চিহ্নীত ইয়াবা কারবারীরা। অথচ সমস্ত অপরাধের দায়ভার বয়ে যাচ্ছে নাফ নদীতে মাছ শিকার করা জেলেরা। পর্যবেক্ষন করে আরো জানা যায়, বেশীর ভাগ ইয়াবা আসছে রাতের অন্ধকারে। রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই মরন নেশা ইয়াবা পাচার কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। প্রতিদিনের ইয়াবা আটকের ধারাবাহিকতায় বিজিবি সদস্যরা ৩১ জুলাই ৫ ঘন্টার ব্যাবধানে ফের ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। যার মুল্য ১০ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এই ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয় হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী গ্রামের ছুরি খালের উত্তর পাশের নাফ নদীর কেওড়া বন থেকে। অপরদিকে বিজিবি সদ্যস্যরা রবিবার গভীর রাতে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়াস্থ নাফ নদীর উপক’ল এলাকা থেকে ২২ হাজার ৪৮৬ পিস ইয়াবাসহ তিন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়। এরা হচ্ছে মোঃ ইউনুছ আলীর পুত্র মোঃ আবু ফয়াজ (৪০), মোঃ আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ শফিক (২০) ও নোয়াপাড়া গ্রামের মোঃ ফজল আহম্মেদের পুত্র মোঃ রফিক (২৫)। টেকনাফের নাফ নদীতে ইয়াবা পাচার অব্যাহত থাকায় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, যতদিন টেকনাফ উপজেলার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকাকে কাঁটা তারের বেষ্টনী দ্বারা ঘেরাও না করবে ততদিন ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা। তার পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরো সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। কারণ এই রোহিঙ্গারাই ইয়াবা পাচারের মূল নায়ক।তাই আমাদের দাবী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরো কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
এব্যাপারে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এস, এম আরিফুল ইসলাম জানান, রোহিঙগা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে বিজিবি সৈনিকরা সীমান্তে সদা তৎপর রয়েছে। ইয়াবাসহ পাচারকারীদের ধরতে আমাদের জওয়ানরা সদা প্রস্তুত রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয়সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত