প্রকাশিত: ২৬/০৩/২০১৭ ১০:৫৯ এএম

নিউজ ডেস্ক::

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে জেএমবির দুই নেতার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ট্রেনিং পার্ট ও সেফ হোম নির্মাণের কারিগর তারা। ২০ মার্চ থেকে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। গত শুক্রবার তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদ কবির জানান, বাইশারীতে যেসব জেএমবি জঙ্গি তৎপরতা শুরশু করেছিল, তাদের তথ্য-উপাত্ত, বাড়ি-ঘরের ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বাইশারী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বা বিলের ঘোনার পাড়ার মাহবুবর রহমান ওরফে সেলিম ওরফে সোহেল রানা। সে জেএমবির তৃণমূলের কমান্ডার পর্যায়ের সদস্য বলে ধারণা করছে পুলিশ। দ্বিতীয় কমান্ডার মো. মোশাফ্‌ফর। তার বাড়ির দুই ঠিকানা, একটি বাইশারী, অপরটি চরবার রশীয়া, ইসলামপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ। তারা বর্তমানে বাইশারীতে নেই।

তিনি জানান, এই দুই জঙ্গি বেশ কয়েকজন জঙ্গি তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে প্রথমজন হলো হাসান ওরফে ভাগিনা ওরফে ছুরুত আলম। তার পিতার নাম নুর হোসেন। অন্য ৪ জঙ্গি কামাল হোসেন, তার স্ত্রী জোবাইরা। তারা আত্মঘাতী বোমায় মারা গেছে। অপর দুই জীবিত জঙ্গি হলো জহিরশুল হক ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম। এই ৪জন মাঠ পর্যায়ের জেএমবি জঙ্গি নেতা।

তৌহিদ কবির আরো জানান, কুমিল্লার চান্দিনায় জঙ্গি হাসানের স্বীকারোক্তির পর সীতাকুণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিচয় বাইশারীতে নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশ প্রথম ধাপে ২ ব্যক্তিকে গত বৃহস্পতিবার আটক করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা জেএমবি জঙ্গি নয়, তারা লামা থানার একটি মামলার আসামি।

বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আইসি উপ-পরিদশক আবু মুছা জানান, জঙ্গি সন্দেহে আটক রফিক ও মো. আলমকে লামা থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে এ এলাকার জঙ্গি তৎপতায় সম্পৃক্তদের মূল হোতা কারা, তার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এখন পুলিশের কাজ সোহেল রানা ও মো. মোশাফ্‌ফরের অবস্থান কোথায় জানা।

এদিকে জঙ্গি হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা মংশৈনু মার্মার পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, বাইশারীতে পুলিশ হত্যা চেষ্টায় ৪ কেজি ওজনের বোমা হামলা হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রশুয়ারি। ওই বছরের ১৩ মে জঙ্গি কায়দায় হত্যা করা হয় মংশৈনুকে। একই কায়দায় জুন মাসে হত্যা করা হয় এক বৌদ্ধ ভি ুকে। বান্দরবান জেলার আলোচিত এই ৩ ঘটনার এখনো কোনো ক্লু উদঘাটন করতে পারেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তারা আশা, এবার বাইশারীর আলোচিত তিন হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।
সুত্র: আজাদী

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...