![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/2016/05/untitled-57_82745.jpg)
টেকনাফ প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ ইয়াবা বড়ি আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ দুটি ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়া থেকে ও রাত সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরসংলগ্ন সাইরংখাল এলাকা থেকে এসব ইয়াবা বড়ি আটক করা হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, গতকাল রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ায় টহল দিচ্ছিল বিজিবির একটি দল। এ সময় টহল দল দেখে দুজন লোক হাতে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ব্যাগটি উদ্ধার করলে সেখান থেকে ৮০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।
কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাফিউর রহমান বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের একটি বিশেষ টহল দল টেকনাফ স্থলবন্দরসংলগ্ন এলাকায় নাফ নদীতে অবস্থান নেয়। পরে মাছ ধরার নৌকার মতো একটি নৌকা নাফ নদী পার হওয়ার সময় এটিকে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। ওই সময় নৌকায় থাকা দুজন পাচারকারী নৌকাটি প্যারাবনের ঢুকিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নৌকায় থাকা বস্তার ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো ৭০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
বড় ইয়াবার চালান জব্দ করার ঘটনায় পাচারকারী ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ ও লেফটেন্যান্ট নাফিউর রহমান বলেন, সব সময় পাচারকারীদের ধরার চেষ্টা থাকে। কিন্তু রাতের আঁধারে অভিযানে পাচারকারী আটক করা কষ্টকর। আঁধার থাকায় তারা পালিয়ে যেতে পারে।
কোস্টগার্ডের উদ্ধার করা ইয়াবা বড়ি ও নৌকাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে এবং বিজিবির উদ্ধার করা ইয়াবা বড়িগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
পাঠকের মতামত