প্রকাশিত: ১৮/০২/২০২২ ৯:১৯ এএম

চট্টগ্রামে গত বছর জুনে নির্বাচন কমিশনের একজন পরিচালক, ছয় কর্মীসহ প্রভাবশালী অর্ধশত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি তখন ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক। মামলার পরপরই ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। সেখান থেকে ছুটিতে চট্টগ্রামে যান জানুয়ারির শেষ দিকে। ৩০ জানুয়ারি দু’জন লোক এসে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়; সঙ্গে বলে যায় এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা তার চাকরি ‘খেয়ে ফেলবে’। এক সপ্তাহে হয়নি, ১৬ দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরিচ্যুত করেছে দুদক।

শরীফ উদ্দিন জানান, তাকে বাসায় হুমকি দিয়ে আসেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আইয়ুব খান চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন কেজিডিসিএলের আরেক কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ।

এ ঘটনার পর খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শরীফ উদ্দিন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিন দিনের ছুটিতে পটুয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের বাসায় আসেন তিনি। ৩০ জানুয়ারি রাতে বাসার নিচতলায় এক অতিথির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গে এক ব্যক্তি এসে তাকে হুমকি ও অশোভন আচরণ করেন। আইয়ুব খান তার উদ্দেশে বলেন, কেন তার (আইয়ুব) বিরুদ্ধে নিউজ করাইছি? তার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি চাকরি কীভাবে করি তা দেখে নেবেন। চট্টগ্রামে কর্মরত থাকাকালে অনেকের জীবন নাকি নষ্ট করে দিয়েছি। দুদক দিয়ে আমার জীবন নষ্ট করে দেবেন।

ওই বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও বাসার নিচতলায় শরীফের সঙ্গে ওই দু’জনকে দেখা যায়। শরীফ উদ্দিন বলেন, একপর্যায়ে ফোন দিয়ে লোকজন আনেন তারা। তারা তাকে ও তার পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দেন।

 

শরীফ উদ্দিন চট্টগ্রামে তার প্রায় সাড়ে তিন বছরের মেয়াদকালে বিভিন্ন খাতে অনিয়ম ধরার জন্য আলোচিত হন। সে সময় তিনি চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে এনআইডি দেওয়া, ৭ ল্যাপটপ গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দকৃত ২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে কক্সবাজারের পৌর মেয়র মজিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে; জালিয়াতি করে গ্যাস সংযোগ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে; নিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে; চট্টগ্রাম মেডিকেলে রোগীর খাবার লুটপাটের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ফয়সাল ইকবালের বিরুদ্ধে; কক্সবাজারে তিন প্রকল্প থেকে ৮০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ প্রশাসন ক্যাডারের ২৩ কর্মকর্তাসহ ৪৪ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়াও কয়েকটি বড় ধরনের জালিয়াতি উদ্ঘাটন করেন শরীফ উদ্দিন।

শরীফ উদ্দিনের ধারণা, এই সব ‘রাঘববোয়ালই’ এক হয়ে তার চাকরি ‘খেয়ে’ ফেলেছেন। যদিও দুদক বলছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু কী অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে তার বিরুদ্ধে, সে ব্যাপারে দুদকের কেউই কিছু বলছেন না।

দুদক সূত্র জানায়, ৩০টিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শরীফের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে আছে র‌্যাবের জব্দ করা এক কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রাখতে সময়ক্ষেপণ করা, মামলার নামে হয়রানি করা, কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হওয়া।

দুদক চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মাহমুদুল হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকলে আমার বিরুদ্ধেও নামে-বেনামে অভিযোগ পড়তে থাকে। ৩০টিরও বেশি অভিযোগ এসেছে আমার বিরুদ্ধে। অনেকগুলো অভিযোগের তদন্তও হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগেরই প্রমাণ পায়নি কমিশন। মূলত প্রভাবশালীদের শক্তির কাছে হারতে হয়েছে আমাকে। কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করাটাই আমার অপরাধ।’

দুদক কর্মকর্তা শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সমকালকে বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। এসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ তার ছেলে মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

আওয়ামী লীগের নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের খাবার ও টেন্ডার নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাকে কোনো নোটিশ করা হয়নি। আমার কোনো বক্তব্যও নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আমি কোথাও কোনো তদবিরও করিনি। দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কোনোদিন দেখাও হয়নি। প্রতিহিংসা থেকে আমার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা মিলেছে কিনা তাও জানি না।’

এদিকে শরীফকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি মানতে পারছেন না তার সহকর্মীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে তারা প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছেন। দুদকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরির নিরাপত্তা দাবি করেছেন।

পটুয়াখালীতে বদলি: চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১৬ জুন চট্টগ্রাম থেকে দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে হঠাৎ করে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। তাকে বদলির পর দুর্নীতির মামলাগুলো গতি হারায়।

৭ ল্যাপটপ দিয়ে আলোচনায়: চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশনের সাতটি ল্যাপটপ রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায় ২০১২ সালে। পরে এ ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও তৎকালীন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্নিষ্টদের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। হারিয়ে যাওয়া একটি ল্যাপটপ দিয়েই রোহিঙ্গাসহ মোট ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার এমন নজিরবিহীন অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ জুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এই মামলায় চার আসামি ছিলেন প্রভাবশালী। তারা হলেন চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইসি সচিবালয়ের বর্তমান পরিচালক খোরশেদ আলম, জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ূয়া ও পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের সাবেক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তফা ফারুক।

২ হাজার কোটির দুর্নীতি উদ্ঘাটন: কক্সবাজারে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, এসপিএম প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দরকার হয় জমি অধিগ্রহণের। এ জন্য প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান ৫৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগসাজশ করে এখান থেকে দুই হাজার কোটি টাকা লোপাট করে ফেলে। এই চক্রে ছিল সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রভাশালীরা। ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, তার ছেলে ও কয়েকজন কাউন্সিলর। দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ তাদের সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা কয়েক কোটি টাকা জব্দও করেন। এতে করে শরীফের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল কক্সবাজারেরও বড় একটি অংশ।

চমেক হাসপাতালের খাবার: ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ ও বদলি অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফয়সল ইকবাল বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ আসে দুদকে। শুধু ২০১৯-২০ অর্থবছরেই ওই হাসপাতালে প্রায় ৪২ কোটি টাকার টেন্ডার তিনি একাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এ ছাড়া তিনি চমেক হাসপাতালের নিয়োগ থেকে বদলি, কোটি কোটি টাকার খাবার সরবরাহ, আউটসোর্সিং ব্যবসা, এমনকি ঠিকাদারিসহ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন মো. শরীফ উদ্দিন। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় তিনি জব্দ করেন কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও। এতেও ক্ষুব্ধ ছিল একটি অংশ।

রেলওয়ে: ২০২১ সালের ৩১ মার্চ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে খালাসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমদসহ ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। এজাহারে তিনি ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগকালে অনিয়মের অভিযোগ আনেন।

মামলায় তিনি আসামি করেন তৎকালীন প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জোবেদা আক্তার, সাবেক ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের টিএসও মো. রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রভাবশালীকে।

বাদ যাননি পুলিশ সুপার: পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের কলাতলী পৌরসভা এলাকায় দুই একর জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ে দুর্নীতিতে। আসল মালিকদের বঞ্চিত করে জেলা প্রশাসনের তৎকালীন দুই কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া মালিক তৈরি করে তারা ২০ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা পায় দুদক। সম্পৃক্ততা পান তিনি কক্সবাজার জেলার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. শামীম হোসাইনেরও। কক্সবাজারে এ ধরনের আরও দুটি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণও পান তিনি পৃথক আরেক ঘটনায়। এ জন্য প্রশাসন ক্যাডারের ২৩ কর্মকর্তাসহ মোট ৪৪ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন দুদক কর্মকর্তা শরীফ। এই অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- কক্সবাজারের সাবেক উপকমিশনার, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার, সাবেক ইউএনও, পিবিআইর কক্সবাজার ইউনিটের সাবেক পুলিশ সুপার ও সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ চার কর্মকর্তা।

মন্ত্রীপুত্রের ঘরেও হানা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে মামলা করেন শরীফ। ওই মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন কেজিডিসিএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান, সার্ভেয়ার দিদারুল আলম এবং অবৈধভাবে সংযোগ পাওয়া গ্রাহক মুজিবুর রহমান। এই মামলায় মহাব্যবস্থাপক সারওয়ার হোসেন, সাবেক ব্যবস্থাপক মুজিবুর রহমান ও সার্ভেয়ার দিদারুল আলমকে গ্রেপ্তারও করে দুদক।

টিআইবির প্রশ্ন: প্রভাবশালী চক্রের চাপের কারণেই মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা দূর করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

টিআইবি বলেছে, বেশ কিছু আলোচিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও মামলা পরিচালনায় মূল ভূমিকায় ছিলেন শরীফ উদ্দিন। তার চাকরিচ্যুতি নিয়ে বেশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুদকের কর্মীদের মানববন্ধনের মতো ঘটনাও ঘটেছে।

টিআইবি মনে করে, জনমনে তৈরি হওয়া প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হলে দুর্নীতি দমনে কাজ করা সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা গভীরতর সংকটের মুখে পড়বে। সুত্র: সমকাল

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় কিশোরীদের জীবন দক্ষতা উন্নয়নে ৩ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী উৎসব

কক্সবাজারের উখিয়ায় কিশোরীদের জীবন দক্ষতা উন্নয়নে তিন মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে ” জাঁকজম ভাবে এলবিই ...

গোল্ড কাপ ফাইনালে টিকিট কেলেঙ্কারি, মাঠে দর্শকদের বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা

জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। শুক্রবার ...

উখিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে শিশু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

উখিয়ায় বাল্য বিবাহের হার কমিয়ে আনতে শিশু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...

বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক চেয়ারম্যানের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

রামু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। ...