ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২২/০৫/২০২৩ ৯:২১ এএম

চাঁদে যাওয়ার কথা ভাবছেন? ভাবনা নেই। প্রকৃত না হোক কৃত্রিম চাঁদে যাওয়ার স্বাদ মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে দুবাই।

সম্প্রতি মানবসৃষ্ট চাঁদ তৈরির জন্য ৫০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। এর মধ্যদিয়ে মানুষ চন্দ্রপৃষ্ঠে ভ্রমণের স্বর্গীয় অনুভূতি পৃথিবীতে বসেই উপভোগ করতে পারবে।

কানাডার উদ্যোক্তা মাইকেল হেন্ডারসন দুবাইতে ৩০ মিটার উঁচু একটি ভবনের ওপর চাঁদের একটি ২৭৪-মিটার প্রতিরূপ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। আগে থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন এবং বিস্ময়কর বিভিন্ন স্থাপত্যকর্ম সমৃদ্ধ দুবাইকে এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে।

মূলত চাঁদের মতো দেখতে একটি সুবিশাল রিসোর্ট তৈরি করা হচ্ছে দুবাইয়ের একটি অভিজাত এলাকায়। দূর থেকে চাঁদ দেখতে যেমন হেন্ডারসনের ‘দুবাই মুন’ ঠিক তেমনি দেখাবে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) হেন্ডারসন বলেছেন, স্বর্গীয় অবয়ব হিসেবে চাঁদ নিজেই নিজের ব্র্যান্ড। আট শত কোটি মানুষের কাছে এই ব্র্যান্ডটি সুপরিচিত। দুবাই মুন নামে চাঁদের অনুকরণে আমরা একটা রিসোর্ট তৈরি করব। এতে মানুষ চাঁদের অনুভূতি পাবে।

হেন্ডারসনের পরিকল্পনা অনুযাযী গোলাকার কাঠামোর ভিতরে একটি রিসোর্ট থাকবে। যাতে একটি চার হাজার রুমের হোটেল, ১০ হাজার মানুষ বসার মতো হলরুম এবং লুনার কলোনির মতো বিস্তৃত এলাকা থাকবে। এখানে হাঁটলে মনে হবে যেন চাঁদের বুকে হাঁটছেন। রাতে চাঁদের মতোই জ্বলজ্বল করবে এই রিসোর্ট।

ইতোমধ্যেই শিল্পীদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট তৈরির পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন ৮২৮ মিটার বুর্জ খলিফার মতো এটিও প্রচণ্ড ব্যয়বহুল একটি প্রকল্প। প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রকাশ করা হলেও কবে মুন ওয়ার্ল্ডের কাজ শেষ হবে তা জানা যায়নি।

অনেকে এটিকে মানবসৃষ্ট দুবাই র্পার্লের মতো ব্যর্থ প্রকল্প বলে অভিহিত করেছেন। দুবাই পার্ল বিশ্বের সব থেকে বড় মানুষ নির্মিত দ্বীপ, যেটিকে ছোট ছোট দ্বীপ বানিয়ে পাম গাছের মতো সাজানো হয়েছে। দুবাই পার্ল দ্বীপটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

সূত্র: এপি

পাঠকের মতামত

স্বাভাবিক পথে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে খাদ্যপণ্য, টেকনাফে ফিরছে যাত্রী

অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। দীর্ঘ ৩৩ দিন পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাতায়াত করছে ...