উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭/১২/২০২২ ৭:৪২ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা থেকে সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী হয়ে শাহ পরীর দ্বীপ জেটি পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলো মিটার সড়ক। ২০১২ সালে জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গিয়ে একাধিক স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শাহপরীর দ্বীপে যাওয়ার সোয়াপাঁচ কিলোমিটার সড়কটি।

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে দক্ষিণের গ্রাম শাহপরীর দ্বীপে, যেখানে বসবাস করেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। ১০ বছর আগে শাহপরীর দ্বীপে যাওয়ার সড়কটি জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। তবে সম্প্রতি সোয়া পাঁচ কিলোমিটার সেই ভাঙা সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সড়কের উদ্বোধন করবেন।
সড়ক বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. শাহে আরেফীন বলেন, ‘টেকনাফ- শাহপরীর দ্বীপ’ সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা। ৫ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের শাহপরীর দ্বীপ সড়কটির কাজ শেষ হওয়ায় ইতিমধ্যে যান চলাচলও শুরু হয়েছে।
শাহে আরেফীন বলেন, আগে সড়কটির প্রস্থ ছিল ৩ দশমিক ৭০ মিটার। এখন প্রস্থ আরও ১ দশমিক ৮০ মিটার বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়েছে। দুই পাশে পানি প্রবাহের সুবিধার্থে সড়কের ওপর একটি সেতু ও ১২টি কালভার্ট বসানো হয়েছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২০১২ সালের ২২ জুলাই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গিয়েছিল। তখন জোয়ারের পানিতে শাহপরীর দ্বীপ হারিয়াখালী সড়কটি ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ ১০ বছর সড়কটি ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল।

শাহপরীর দ্বীপের ৮ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম জানান, সড়কটি ভেঙে গিয়ে একাধিক স্থানে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভাঙা অংশ হেঁটে অতিক্রম করতে হতো স্থানীয় বাসিন্দাদের। বর্ষাকালে কাঁদার কারণে সড়কে হাঁটাও যেত না। দুই পাশে জমে থাকা পানির ওপর দিয়ে নৌকায় চলাচল করতেন এলাকার মানুষ। সড়কটি পুনর্নির্মাণের দাবিতে তাই এলাকাবাসী আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
শাহপরীর দ্বীপ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাষ্টার জাহেদ হোসেন বলেন, সড়ক ব্যবহার করতে না পারায় বর্ষাকালে নৌকায় যাতায়াত করতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে গত ১০ বছরে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সড়কটি পুণরায় নির্মাণ করায় ৪০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হলো। এলাকার মানুষের জীবন যাত্রায় এ সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে।

পাঠকের মতামত

রেঙ্গুন থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প: মাদক কারবারী শালা দুলাভাইয়ের আধিপত্য

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পুরাতন রাজধানী রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন নামে পরিচিত) বাস করেন রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

কর্ণফুলী টানেলের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক জেড-১০৪০ উন্নয়ন প্রকল্প ...

৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামানভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রামে শহীদ মৌলভী ফরিদ আহমেদ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ...

মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ

উখিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন–২০১২ বিষয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...