উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২/১১/২০২২ ৯:৪৯ পিএম

আমি হালিমা আকতার, পিতা : মৃত মাষ্টার সিকান্দর আলম সাং-মোছনী পাড়া, হ্নীলা, টেকনাফ ও সহকারী শিক্ষিকা শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন মিডিয়া ও অনলাইন পত্র-পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে টেকনাফে ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছেন। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে-গত ২৮/০৭/২০২১ তারিখ তাজমিল উদ্দিন, পিতা: মৃত আবু বকর সাং-রোজার ঘোনা, হোয়াইক্যং, টেকনাফ। তাকে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ করি। বিয়ের সময় আমি আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ১৭০০০০/- (এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা প্রদান করে শুধুমাত্র ১টি খাট ছাড়া কিছু ক্রয় না করে বাকি সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া তিনি প্রায় সময় আমার বেতনের টাকার জন্য অগ্রিম চেয়ে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চেষ্টা করে ও তাকে আবারো মোটর সাইকেল ক্রয়ের জন্য যৌতুক হিসেবে (দুই লক্ষ টাকা) দাবী করে আসতেছে। উক্ত-যৌতুকের টাকা ও বেতনের জন্য প্রায় সময় আমাকে মারধর করে নির্যাতন করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২/০৮/২০২২ রাত ৮ টায় তাজমিল উদ্দিন তার ভাই রফিক উদ্দিন বোন ফয়েজ আরা এবং মা দিল আফরোজা সবাই মিলে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয়। যার জন্য আমি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনাল নং-০৩, ৫/৯/২০২২, কক্সবাজার সিপি মামলা নং-২৪৪/২০২২ মামলা করি।
যার তদন্তভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব এমদাদ হোসেনকে দেয়। আমি মাস্টার্সে ভর্তির জন্য সার্টিফিকেট খুঁজলে তাজমিল উদ্দিন সরাসরি
বলে, কোন সার্টিফিকেট, স্বর্ণালংকার, চেক বই, কাপড় চোপড়সহ কোন কিছু দিবে না। ফলে তাই আমি ৯৮ ধারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজারে জিনিসপত্র উদ্ধারের জন্য আরেকটি মামলা করি যার নং- এম আর
১৬১৬/২০২২। তারিখ ৩১/০৮/২২ ইং উক্ত ঘটনার বিষয়ে ৩/৯/২২ ইং একটি অভিযোগ করি এবং সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং-১৬৭৫ তাং
২৯/০৩/২০২২। তারপরেও তাজমিল আমাকে স্কুলে যাওয়া আসার-সময় ধরে নিয়ে যেতে চায়। তিনি আমাকে বিভিন্ন যাদু-টুনা করেন। সে বিভিন্নভাবে আমার শরীরে আঘাত করে। এরপর আমাকে কয়েকবার অপহরণ করে ধরে নিয়ে যেতে চায়। উক্ত বিষয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে গত ১৫/১০/২০২২ তাকে আমি ডিভোর্স প্রদান করি এবং বিভিন্ন দপ্তরে সেই মোতাবেক অনুলিপি প্রদান করি। তারপরেও সে আমাকে বউ দাবি করে অপহরণ করে নিয়ে যেতে চাই। এবং ঘটনার তদন্তের ব্যাপারে টেকনাফে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের নিকট সময়ের আবেদনের দরখাস্ত দিতে গেলে তাজমিল উদ্দিন ও তার তিনবন্ধুসহ পরিকল্পিতভাবে আমাকে জোরপূর্বক ধরে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এরপর আমি চিৎকার ও ধস্তাধস্তি করে কোনরকম নেমে যেতে সক্ষম হয়। তখনই উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ফোন দিলে রিসিভ না করাই আমার আত্বীয় ও আমার বাবার ছাত্র পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক টেকনাফ শাখার ম্যানেজার জনাব সানা উল্লাহ যার সাথে আমার জন্মের আগে থেকে পারিবারিক সম্পর্ক। যার সাথে কোন প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারেনা। তাকে ফোন দিলে মোটর সাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তখন তাজমিল ও তার বন্ধুদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাজমিল উদ্দিন আমাকে কোন গাড়িতে যেতে দিবেনা বললে বড় ভাই সানাউল্লাহ তার মোটর বাইক করে নিরাপদে বাড়িতে পৌছে দেয়। পরবর্তি সময় তাজমিল তার সিএনজি নিয়ে আমাদের অজান্তে ভিডিও ধারন করে গালাগালি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার সঠিক তথ্য না জেনে বিভিন্ন সাংবাদিক ভাইয়েরা ফেসবুক ও অনলাইন পত্রিকায় মনগড়া আপত্তিকর ভূয়া সংবাদ প্রচার করে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে সম্মানহানি করে সংবাদ প্রচার করলে আত্বহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এ বিষয়টা আমি টেকনাফের ইউএনও স্যারকে লিখিত অভিযোগ সহকারে বিচার দিয়েছি।
তিনি একজন অনৈতিক প্রকৃতির লোক। যার প্রমান তার বাড়ির উত্তরপাশের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করতে গেলে দুইবার জনতার হাতে ধরা পড়ে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। তাছাড়া তার মেঝভাই ফয়সাল উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মারধর করে দুইবছর সশ্রম সাজাভোগ করে চাকরী থেকে বরখাস্ত হয়। যার মামলা নং-সিআর ১০৪৫/১৯ ইং। তার মেঝবোন মাহবুবা আক্তার অবৈধভাবে চারটি জামাই বিয়ে করে ফান্ডে পড়ে আসামী হয়ে কারাবরণ করেন। আসলে তাদের পুরো পরিবারই খুবই খারাপ। যা এলাকাবাসি সব জানেন। প্রকৃতপক্ষে সে আমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও স্বাক্ষীদের বিভিন্নভাবে অপমানিত করেছে। এবং আমার বড় ভাই সানাউল্লাহর মানহানি করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সবাইকে খারাপ মনোভাব দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে দূর্ণাম ছড়াচ্ছে। অর্থাৎ শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা করতেছে। তাই উক্ত সংবাদ ও ভিডিও আমার মানহানি করে অবৈধভাবে প্রচার করেছে। ভবিষ্যতে যদি এরকম কাল্পনিক মানহানিকর ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেন তাহলে আমি সরাসরি আইসিটি আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হব। এ ব্যাপারে শিক্ষকমহল, এলাকাবাসীসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
হালিমা আকতার
সহকারী শিক্ষক
শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পাঠকের মতামত

চট্টগ্রামে দুই কোটির চাঁদাবাজি, বৈছাআ নেতা নিজামের পদ স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ), চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের পদ ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে’ ...

প্রবাসীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ স্বজনের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ রুবেলের মরদেহ দেশে ফিরেছে একটি কফিনে ...

ছেলের বিয়েতে আ.লীগ নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়ে কেন্দ্র করে বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেফতারের ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...