প্রকাশিত: ২১/০৪/২০১৭ ৮:০৯ এএম

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ:
টেকনাফ সীমান্তের ত্রাস, শীর্ষ ডাকাত ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম ডাকাতের ২য় নিরাপদ আস্তানা হ্নীলা পশ্চিম লেদার গহীন অরণ্যে। এখন এই আস্তানা নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ একটি সিন্ডিকেট।
টেকনাফ সীমান্তের ত্রাস, শীর্ষ ডাকাত ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আব্দুল হাকিম ডাকাতের ২য় নিরাপদ আস্তানা হ্নীলা পশ্চিম লেদার গহীন অরণ্যে। এখন এই আস্তানা নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ একটি সিন্ডিকেট।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,সম্প্রতি টেকনাফ সদরে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মেম্বার হত্যাকান্ডের পর হতে রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের দূর্গে প্রশাসনিক অভিযানের অজানা আতংক ছড়িয়ে পড়ায় পুরো উপজেলার পাহাড়ী জনপদের গহীণ অরণ্যে আস্তানা গড়ে তোলে। সম্প্রতি হ্নীলার নয়াপাড়া,মোচনী ও লেদা রোহিঙ্গা বস্তি সংলগ্ন পাহাড়ের গহীনে একটি আস্তানা গড়ে তোলেছে বলে লোকমুখে গুঞ্জন উঠে। পশ্চিম লেদার বেলা কাদিরের পুত্র নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নুর,আবুল কালাম,আব্দুস সালাম,নুরুল আলম,জুহুর আলম,বদর উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ আমিন,রিয়াজ উদ্দিন,মুচনী ক্যাম্পের ই ব্লকের ছৈয়দুর রহমানের পুত্র রহিমুল্লাহ ওরফে ডাকাত রহিমুল্লাহ,ডি ব্লকের আব্দু শুক্কুরের পুত্র আনু প্রকাশ নাগু ডাকাত,সি ব্লকের নেজাম উদ্দিনের পুত্র ফারুক,ডি ব্লকের আব্দু শুক্কুরের পুত্র হাকিম,ই ব্লকের মোঃ পেঠানের পুত্র বাবুল প্রকাশ বাইল্ল্যা ডাকাত,লেদা রোহিঙ্গার নুর মোহাম্মদ প্রকাশ গুলি নুর মোহাম্মদ মিলে হাকিম ডাকাতের ২য় আস্তানা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম কানা-ঘুষা চলছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা এলাকায় চুরি,ডাকাতি,ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ,মাদক সেবন করে মাতলামী করে বেড়ায় বীর দর্পে কিন্তু কারো প্রতিবাদের ভাষা নেই। গত ১৯এপ্রিল দুপুর ১টারদিকে এই চক্রের সদস্যদের মাদক সেবনের স্থান না দেওয়ায় পশ্চিম লেদার সৌদি প্রবাসী আবুল খায়েরের স্ত্রী নুর নাহার (৩৮) ও পুত্র মিজানুর রহমান (১৫)কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত ও রক্তাক্ত করে। পরে বিষয়টি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই চক্রের চরম উৎপাতে আগেও মুহাম্মদ হাসানের মেয়ে রুজিনাসহ ২/৩টি পরিবার এলাকা ছেড়ে বান্দরবানের দিকে বসতি গড়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। আব্দুল হাকিম ডাকাত ও ১৪/১৫জন সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দানকারী নুরুল ইসলাম মিলে পাহাড়ী জনপদে মিলে যাবতীয় অপরাধ সংগঠিত করে আসছে। ইদানীং আব্দুল হাকিম ডাকাতের উপজেলা সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযান জোরদার হওয়ার পর এই লেদার পশ্চিম পাহাড়ে অবস্থান করে। এখনেই বসে যাবতীয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে একাধিক সুত্র দাবী করছে। স্থানীয় সচেতন মহল ডাকাত আব্দুল হাকিমের দ্বিতীয় আস্তানা গুটিয়ে দিয়ে এসব অপরাধীদের গ্রেপ্তার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে

মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা দেশটির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী তা’আং ...

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবি

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও দূরপাল্লার ট্রেন পটিয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ...