প্রকাশিত: ৩১/০৭/২০১৭ ৯:৪৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫৪ পিএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি::
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের শতবর্ষী এতিহ্যবাহি গুদুমগুহা পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন-কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আলী কবির।

এ উপলক্ষে একসভা কুদুমগুহা প্রাঙনে হোয়াইক্যং সহব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আলী কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রীজের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোর্শেদ চৌধুরী, প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা, বেসরকারি সংস্থা ক্রেল এর কক্সবাজার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আলম খান, নিসর্গ নেটওয়ার্ক সহব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ।

বক্তব্য দেন টেকনাফ বনরেঞ্জ কর্মকর্তা তাপস কুমার দেব, হোয়াইক্যং বন বিট কর্মকর্তা গাজী ওমর আলী, ক্রেল প্রকল্পের অনুদান কর্মকর্তা এম এ হেলাল উদ্দিন, নিসর্গ নেটওয়ার্কের সদস্য সাইফুল্লাহ, সিএমসি ফাসিয়াখালী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এলমুন নাহার মুন্নি, সদস্য আকতার কামাল প্রমুখ।

বন বিট কর্মকর্তা গাজী ওমর আলী বলেন, গতকাল সোমবার কুদুমগুহা কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর ২৪ জন ব্যক্তি টিকিট কেটে শতবর্ষী কুদুমগুহা পরিদর্শন করেন। টিকিটমুল্য শিক্ষর্থীদের জন্য পাঁচ টাকা। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০টাকা।

ডিএফও মো. আলী কবির বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে পর্যটকেরা ঐতিহ্যবাহি কুদুমগুহায় যেতে পারেন না। তাই পায়ে হেঁটে গুহায় যাতায়াতের রাস্তা, বিশ্রাগার, শৌচাগার, টিকিট কাউন্টার তৈরি করে এটিকে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে বনবিভাগের তত্বাবধানে সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, এক সময় টেকনাফের মাথিনেরকুপ ও নেটং পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহি বৃটিশ বাঙ্কারটিও অবহেলিত ছিল। সংস্কার ও উন্নয়নের মাধ্যমে দুটি কেন্দ্রকে আকর্ষনীয় করা হয়েছে। এখন প্রতিবছর ছয়-সাত লাখ পর্যটক মাথিনেরকুপ পরিদর্শন করছেন। পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে কুদুমগুহা পর্যটন কেন্দ্রেও লাখো মানুষের সমাগম ঘটবে। তখন অবহেলিত এই এলাকার উন্নয়ন ঘটবে।

আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, কুদুমগুহার আশপাশে বসবাসকারী চাকমা পল্লীতে পর্যটকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে স্থানীয়রা লাভবান ও উপকৃত হবেন। এক্ষেত্রে কুদুমগুহার অবকাঠামোগত আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বনাঞ্চল উজাড় প্রতিরোধ করতে হবে। কুদুমগুহার তিন পাশে প্রবাহিত তিনটি পাহাড়ি ছড়াকে সংস্কার করে পর্যটকদের নৌকাভ্রমণের সুযোগ করে দিতে হবে।

পাঠকের মতামত

জেলার বিভিন্ন ইউপি কার্যক্রমে স্থবিরতা

দেশের তৃণমূল পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা। স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো তৃণমূলে বাস্তবায়ন করে ...

দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদন লাশ গুনে গুনে ক্রসফায়ার বাণিজ্যের ভাগ নিতেন কামাল-বেনজীর

ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ...