প্রকাশিত: ২৮/০৯/২০১৭ ৭:০০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৫৯ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::

টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সচেতনতা এবং উদ্বুদ্ধকরণের ফলে রোহিঙ্গারা অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা বিভিন্ন অস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্রাচার্য বলেন ‘সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে ৩ ভাগে ব্যাপকভাবে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। এ জন্য টেকনাফে ২টি এবং উখিয়ায় ৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুই উপজেলায় নিয়মিত আগের স্বাভাবিক সেবা দান ছাড়াও রোহিঙ্গাদের সেবায় গঠিত ৬টি মেডিকেল টিম রাতদিন কাজ করছেন। এতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডেপুটেশনে আনা ৬ জন মেডিকেল অফিসার, ৬ জন উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো), ২০ জন এফপিএ দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যেই ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী জন্ম বিরতি উঞ্জেকশন, ৭ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী খাবার বড়ি এবং ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা পুরুষ কনডম গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে এমআর টিকা, ২ শতাধিক গর্ভবতী রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপদ ডেলিভারী এবং ২৫ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়েছে’। তিনি আরও বলেন ‘বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা পাচ্ছেন’।

টেকনাফ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্রুতি পূর্ণ চাকমা বলেন ‘মেডিকেল টীম গঠন করে রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে নিয়মিত কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। ত্রাণ গ্রহণের লাইনে এবং আশ্রয় ক্যাম্পে গিয়ে সরকারী নির্দেশনা মতে কর্মীগণ কাউন্সিলিং করছেন’।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে স্থায়ী বা অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং জন্ম বিরতির কোন ঔষধের সরবরাহ ও ব্যবস্থা নেই। সারা বছর জুড়েই টেকনাফ এবং উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে খাবার বড়ি, কনডম ও ইঞ্জেকশন মিয়ানমারে পাচার হত। প্রচুর চাহিদা ছিল এসব সামগ্রীর। চোরাইপথে যাওয়া এসব জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ঔষধ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ চড়া দামে কিনে ব্যবহার করতেন। এখন তারা বাংলাদেশে এসে বিনা মুল্যে হাতের কাছে পেয়েছে।

এদিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুমন বড়–য়া বলেন ‘রোহিঙ্গারা প্রয়োজনের তুলনায় যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন। গরম এবং হালকা বৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবার কারণে রোগ বালাই তেমনটি দেখা যাচ্ছেনা। রোহিঙ্গাদের সেবা দানের লক্ষ্যে টেকনাফে ফিল্ড পর্যায়ে সরকারী উদ্যোগে ৫টি, বেসরকারী উদ্যোগে ১১টি মেডিকেল টীম কাজ করছে। আইন শৃংখলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সাংগঠনিক ছাড়াও ১৩টি কমিউিনিটি ক্লিনিক, ২টি সাব সেন্টার, ২টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ৫০ শয্যার উপজেলা হেলথ সেন্টার, মুচনী এবং লেদা ক্যাম্পে এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের আওতায় ২৯ জন ডাক্তার, ২৭ জন নার্স, ৮ জন স্যাকমো নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে পরিচালিত মেডিকেল টীমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী রোহিঙ্গাদের সেবায় কাজ করছেন’।

পাঠকের মতামত

শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে পোস্ট, এসিল্যান্ড প্রত্যাহার

শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুম মুনিরা ...

আলোচিত স্কুলছাত্রী টেকনাফের তাসফিয়া হত্যা: এবার তদন্ত করবে পুলিশ

চট্টগ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ...