প্রকাশিত: ১৬/০৮/২০১৭ ৬:১৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:০৩ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
একমুঠো ভাত চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মা। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত মায়ের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। সেই মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আউয়াল।

আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে তিনি নির্যাতিত ওই মায়ের ছবি ফেসবুকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিক, পুলিশ, প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার দুরে হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে যেয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন বৃদ্ধার যে আঘাত তার চিকিৎসা করা সেখানে সম্ভব নয়।’

“তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে আসা হয় ঠাঁকুরগাও সদর হাসপাতালে। বর্তমানে সেই মা ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে মা তাসলেমা তার বড় ছেলের বউ-এর কাছে ভাত চাইতে গেলে, ছেলের নির্যাতনের শিকার হন। এমনকি মারধোর করে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে উদ্যত হন ছেলে বদরুদ্দিন।

জেলা প্রশাসক জানান, ৩০ বছর আগে তাসলেমা খাতুনের স্বামী মারা যান। তার চার ছেলে ও ১ মেয়ে থাকলেও কেউ দেখাশোনা করে না অসহায় এই মাকে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই মা কানেও খুব একটা শুনতে পান না। চোখেও দেখতে পান না ভালো করে। এমনকি তার বাকশক্তিও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

গ্রামবাসীদের একজন নাম প্রকাশ না করে জানান, খাবারকে কেন্দ্র করে বউয়ের কথায় ছেলে বদরুদ্দীন বৃদ্ধা মায়ের মুখে বরাবর আঘাত করে। এতে বৃদ্ধা মায়ের বাম চোখের নিচের অংশে ক্ষত হয়ে রক্তপাত হয়। নির্যাতন করে বাড়ির বাইরে ফেলে রাখা হয় বৃদ্ধা তাসলেমাকে। এসময় গ্রামবাসীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।

পুলিশ প্রশাসন বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে তদারকি করছে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, সেসময় বৃদ্ধা মায়ের অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে, ছেলে বদরুদ্দীন কে শাস্তির আওতায় আনার চেয়ে বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা করানোটাই সেসময় বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মায়ের কষ্ট লাঘবের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই মায়ের একটি মেয়ে রয়েছে আমরা চাইবো প্রতি মাসে মায়ের জন্য এমন একটি ভাতার ব্যবস্থা করতে যাতে করে তার মেয়ে তাকে দেখাশোনা করতে আগ্রহী হয়। আর মেয়ে যদি তাতে রাজি না হয় তাহলে মাকে রাখা হবে সরকারি শিশু পরিবারে। যেখানে মা তার নাতি-নাতনীর বয়সী বাচ্চাদের সঙ্গে থাকবেন। যতোদিন বেঁচে থাকবেন এই মা ততোদিন তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে জেলা প্রশাসন।’

পাঠকের মতামত

বিএনপির আসনভিত্তিক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত, কক্সবাজার-১ সালাহউদ্দিন আহমেদ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক একক প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিএনপি। এরই মধ্যে হাইকমান্ড ...

পহেলা নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা : পরিবেশ উপদেষ্টা

১ নভেম্বর থেকে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার ...

শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ হারে সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ

লাগাতার আন্দোলনের মুখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের পাঁচ ...

শাহজালাল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন, ঢাকাগামী ফ্লাইট যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কলকাতায়

হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬ টি ইউনিট করছে। আগুনের ...