কক্সবাজারে পর্যটন করপোরেশনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আবাসিক হোটেল ‘প্রবাল’ ও ‘উপল’ দ্রুত সংস্কার কিংবা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় যেকোনো সময় ভবন ধসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটন করপোরেশনের তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এ সুপারিশ করে। এর পর প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। উল্টো পুরোদমে ব্যবসা করছে পর্যটন করপোরেশন। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন ওই হোটেলে অবস্থানরত পর্যটকরা।
জানা যায়, ১৯৬৭-৬৯ সালের মধ্যে পর্যটন শহর কক্সবাজারে মোটেল দুটি নির্মাণ করা হয়। তিন তলাবিশিষ্ট মোটেল প্রবালে আছে ৩৮টি কক্ষ। এছাড়া সেখানে আছে একটি রেস্টুরেন্ট। একই উচ্চতাবিশিষ্ট মোটেল উপলেও রয়েছে ৩৮টি কক্ষ, একটি রেস্টুরেন্ট ও একটি ডরমেটরি। চার দশকেরও বেশি পুরনো মোটেল দুটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিযোগ উঠলে তা যাচাইয়ের জন্য অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছিল পর্যটন করপোরেশন। প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রবাল ও উপল পরিদর্শন করে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যটন করপোরেশনের কাছে একটি প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মোটেল দুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভবন ধসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করা যায়, সে জন্য বেশকিছু সংস্কার খুবই জরুরি। তা না হলে ভবন দুটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর পর্যটন করপোরেশন মোটেল দুটি সংস্কারের লক্ষ্যে ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু নয় মাসেও এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। উপরন্তু ঝুঁকি নিয়েই মোটেল দুটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম মোটেল দুটির ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বলেন, এক মাসের মধ্যে এগুলো সংস্কার করতে না পারলে ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। কিন্তু শুনেছি, প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।
পর্যটন করপোরেশন কক্সবাজারে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে পর্যটন করপোরেশন মোটেল দুটি সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরই। কিন্তু নানা কারণে একটু দেরি হচ্ছে। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদের পরদিন থেকে দৈনিক দেড়-দুই লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আসবেন। তখন এখানকার সব হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউজ পূর্ণ হয়ে যাবে। এ সময় পর্যটন কনপোরেশনের ওই হোটেল দুটিতে যদি বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে কক্সবাজার পর্যটকদের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এর দায় কে নেবে!
এ প্রসঙ্গে পর্যটন করপোরেশন কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও হোটেল শৈবালের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, ওই হোটেল দুটি সংস্কারের জন্য ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা রেললাইনে বসে গল্প করছিলেন বলে ...
পাঠকের মতামত