নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া::
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেইনে উন্নীত করা হবে। পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলেও এরা এ মহাসড়ককে চারলাইন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাপান সরকার এ সড়কের সব ব্রিজ নির্মাণ করে দেবে। তিনি গতকাল শনিবার সকালে ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পটিয়া বাইপাস সড়কের উদ্বোধন শেষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পটিয়া ৫ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ করার জন্য তাকে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে বারবার তদবির করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সড়ক নির্মাণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার বিকল্প হিসেবে তাদের বাড়ি ও মন্দির নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য, জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা যাবে না। বিএনপি এখন নালিশ পার্টি। সার্চ কমিটি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম জমা দিয়েও তারা সিইসিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে তারা জিততে পারবে না, নারায়ণগঞ্জের মতো ভরাডুবি হবে। বিএনপি দেখুক, নির্বাচন কমিশন কিভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। এ কমিশন সেই আজিজ মার্কা কমিশন নয়। আজিজ বিএনপির লোক ছিলেন। সার্চ কমিটি যে সিইসির নামের তালিকা দিয়েছে সেখানে আওয়ামী লীগের একজন ও বিএনপির একজনকে রেখেছে।
পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ইন্দ্রপুল হল টুডে কনভেনশন সেন্টার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়-য়া, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, সদস্য দেবব্রত দাশ, আকম সামশুজ্জামান চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আলমগীর আলম, আবদুল খালেক, চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বাচ্চু, এসএম ইনজামুল জসিম, গাজী ইদ্রিস, এমএ হাশেম, এহছানুল হক, মাহবুবুর রহমান, বখতিয়ার উদ্দীন, সাজেদা বেগম, মাজেদা বেগম শিরু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দীন, সেক্রেটারি এমএ রহিম, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী, সেক্রেটারি রফিকুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কোরবান আলী, পৌরসভা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি আবু সাঈদ তানভীর, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল সাকের ছিদ্দিকী, সেক্রেটারি কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
এসময় স’ানীয়রা পটিয়াকে জেলা করার দাবি জানালে মন্ত্রী তার জবাবে বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী। আমি এমন ওয়াদা করি না যে ওয়াদায় কাজ হবে না। শেখ হাসিনা সরকার যে কাজ বাস্তবায়ন করে সে কাজের ওয়াদা করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে করে বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। দলের কর্মী কমিয়ে নেতা বৃদ্ধির করার প্রয়োজন নেই। ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে জনগণের মন জয় করতে হবে। খারাপ আচরণের লোক আওয়ামী লীগের দরকার নেই। দলকে সংগঠিত করতে হবে। দল ক্ষমতায় আসলে অনেক বসন্তের কোকিলের দেখা মিলে। তার জন্য নেতার চেয়ে কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। নেতাদের কারণে দলের ভেতরে বিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। দুঃসময়ে যারা দলের জন্য ভূমিকা রেখেছিল তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
সমাবেশ শেষে মন্ত্রী ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
পাঠকের মতামত