প্রকাশিত: ১৩/০৮/২০২২ ৭:১৩ এএম
সেন্টমার্টিন জেডিঘাট/ ছবি – ওবাইদুল হক চৌধুরী

হেলাল উদ্দিন সাগর ::

সেন্টমার্টিন জেডিঘাট/ ছবি – ওবাইদুল হক চৌধুরী

বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন – টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় সেন্টমার্টিনের অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিশিং বোট চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চাল, ডাল, আলুসহ প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম অভাব দেখা দিয়েছে।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌপথে যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় উপজেলা প্রশাসন। সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় প্রায় আটদিন সেন্টমার্টিনে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম অভাবে আছেন বলে জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিপদ সংকেত বলবৎ থাকায় গত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে সেন্টমার্টিন – টেকনাফ নৌপথে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবে রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও বলেন, জ্বি। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ চাহিদার প্রায় জিনিসপত্র টেকনাফ থেকে আমদানি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দীর্ঘসময় নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবনীয় অভাবের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় গত আটদিন ধরে সেন্টমার্টিন – টেকনাফ নৌপথে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিপদ সংকেত থাকায় অভ্যন্তরীণ ফিশিং বোটও মাছ ধরতে পারছেনা। ফলে, দ্বীপবাসী চরম খাদ্য সংকটে ভুগছেন। তিনি বলেন, দ্বীপে চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ খাদ্যশস্য টেকনাফ থেকে আমদানি করতে হয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকায় আলু, ডিম, ফার্ম মুরগী, কাঁচা বাজার সহ প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চরম অভাব দেখা দিয়েছে।

পাঠকের মতামত