ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৪/০২/২০২৫ ৮:৪৬ এএম , আপডেট: ০৪/০২/২০২৫ ৯:০১ এএম

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের বোঝা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যার সমাধান না হলে তা পুরো অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়া নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় থাকা জাতিগত গোষ্ঠী ও বেসামরিক নেতাদের অবশ্যই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে তাদের অগ্রাধিকারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রত্যাবাসনই একমাত্র টেকসই সমাধান।

সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে (এফএসএ) এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা উপস্থিতিকে অনেকেই আমাদের সমস্যা বলে মনে করছেন। এটা তা নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। রোহিঙ্গারা যদি বেপরোয়া হয়ে ওঠে তবে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হোসেন সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সম্ভাব্য তহবিল কাটছাঁট মানবিক সংকটকে আরও খারাপ করতে পারে।

তিনি বলেন, ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বৈদেশিক সহায়তা ইতোমধ্যে হ্রাস পাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল আরো কাটছাঁট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র বড় দাতা। তবে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন জরুরি খাদ্য সহায়তা বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি পর্যালোচনা করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছে।

এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের কথা তুলে ধরে সেখানে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আয়োজনে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ স ম আলী আশরাফ।

প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবিরও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

২০১৭ সালে গণহারে দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা করছে এবং গত বছরের জুলাই থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হওয়ায় আরো রোহিঙ্গা পালিয়ে আসছে, যার ফলে কক্সবাজারের জনাকীর্ণ শিবিরগুলোতে চাপ বাড়ছে।

পাঠকের মতামত

টেকনাফের রঙ্গীখালী পাহাড়ে বিজিবির অভিযান: বিপুল অস্ত্র ও হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার গহীন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, ...

অন্যের নামে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করা যাবে না, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুমতিহীন টার্ফ নির্মাণ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘাতের আশঙ্কা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় অত্রযত্র অনুমোদনবিহীন ফুটবল টার্ফ গড়ে উঠছে। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ...