
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস-এর অন্যতম নেতা মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি উখিয়ার লম্বাশিয়া ইস্ট-ওয়েস্ট ক্যাম্প-১ এর বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে খবর পেলাম রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।’ লম্বাশিয়া ইস্ট-ওয়েস্ট ক্যাম্প-১ এর মাঝি মো. রফিক বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করেছে।’
কে এই মুহিবুল্লাহ?
২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে মুহিবুল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন। বিদেশিদের কাছেও তিনি পরিচিত ছিলেন। বিংশ শতকের গোড়ার দিকে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গড়ে তোলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ বা এআরএসপিএইচ। স্থানীয় বাংলাদেশি মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গেও গড়েন যোগাযোগ। ধীরে ধীরে মুহিবুল্লাহ প্রধান পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার একজন হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন>>> দুর্বৃত্তদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ নিহত
রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ ১৯৯২ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তখন থেকেই সে রয়েছে টেকনাফ অঞ্চলে। দেশের বাইরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করেন একাধিক দফায়। কিন্তু ২০১৭ সালে রোহিঙ্গার ঢল নামার পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। সুস্পষ্টভাবে মুহিবুল্লার আজকের অবস্থানের মূল উত্থান হয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২০১৮ সালে ইউএনএইচসিআরকে সংযুক্ত করার পর। রোহিঙ্গাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা থেকেই মদদ পায় মুহিবুল্লাহর সংগঠন এআরএসপিএইচ।
ইংরেজি ভাষা ও রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে দক্ষ মুহিবুল্লাহ ধীরে ধীরে বিদেশিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। এই মুহিবুল্লাহ মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ১৭ দেশের যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ২৭ প্রতিনিধি সাক্ষাৎ করেছিলেন সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন মুহিবুল্লাহ

পাঠকের মতামত